লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি: লালপুরে হাত পায়ের রগ কাটা ও কুপিয়ে জখম হওয়া জুয়েল এর লাশের রহস্য উন্মোচন করেছেন নাটোর জেলার পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা।
ত্রিভুজ প্রেমের কারণে নৃশংসভাবে প্রাণ দিতে হয়েছে সেই লালপুরের জুয়েলকে। এমন টাই দাবি করেছে নাটোর জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা।
নাটোর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে শুক্রবার(১১ই মার্চ)দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জুয়েল হত্যার রহস্য উন্মোচন করে বলেন,লালপুরের দিলালপুরে গত ৪ মার্চ মাঠের মধ্যে থেকে হাত-পায়ের রগ কাটা ও কুপিয়ে জখম করা জুয়েল নামে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
সেখানে আলামত হিসেবে পাওয়া মোবাইলের ট্র্যাকিং এর সূত্র ধরে প্রেমিকা সেলিনাকে আটক করে পুলিশ।
পরে সেলিনার জবানবন্দি অনুযায়ী পুলিশ জানতে পারে তার আরেক প্রেমিক মেহেদী হাসান লিটন ও সৎ ছেলে মেহেদী হাসান পরিকল্পিতভাবে মোবাইল ফোনে জুয়েলকে ডেকে নেয়।
পরে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে হাতে পায়ের রগ কেটে ও কুপিয়ে হত্যা করে জুয়েলকে। পরে পার্শ্ববর্তী মাঠে ফেলে দেয়। পরে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনার সকল আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ আদালতে সোপর্দ করেছে।