বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ০১:০৪ পূর্বাহ্ন
ঘোষনা
“রাজশাহী প্রেসক্লাবের নতুন কার্যালয় উদ্বোধন” অপসাংবাদিকতার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান রামেক হাসপাতালে রোগীর সেবা নয়, বরং তালাবদ্ধ রুমে অজুহাতের রাজত্ব! ভিসা প্রতারক চক্রের মূল হোতা সহ চার জন গ্রেফতার গাজীপুরের শ্রীপুরে সাতখামাইর রেলওয়ে স্টেশন চালুর দাবিতে ট্রেন চলাচল বন্ধ রেখে বিক্ষোভ, মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন এলাকাবাসী গোপালপুরে কাব কার্ণিভাল ২০২৫ উদযাপন টেস্ট ক্রিকেট এ ২৫ বছরে পদার্পন উপলক্ষে সাতক্ষীরায় অ-১২ ক্রিকেট কার্নিভাল অনুষ্ঠান লালপুরে বেসরকারি হাসপাতালে নবজাতকের মৃত্যু, চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ বিএনপি কখনোই মবকে প্রশ্রয় দেয় না : আমিনুল হক দুর্গাপুর শ্রীধরপুরে ৮টি দোকানে দুর্ধর্ষ চুরি ৩৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির ঈদ পূর্ণমিলনী ও আনন্দ ভ্রমণ অনুষ্ঠিত

সাংবাদিকের তথ্যসূত্রসমূহ গুরুত্বপূর্ণ নিয়মিত যোগাযোগ স্থাপন রাষ্ট্রের সাধারণ নাগরিকদের তথ্যপ্রাপ্তি অধিকারের চেয়েও বেশি গুরুত্ববহ

মোঃ মোজাম্মেল হোসেন বাবু
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল, ২০২২
  • ৩৩৯ বার পঠিত

মোঃ মোজাম্মেল হোসেন বাবু মফস্বল সম্পাদকঃ
সাংবাদিকতা পেশার মূল ভিত্তি হচ্ছে তথ্য সংগ্রহ ও প্রকাশ করা । একজন সাংবাদিক সমাজের অগ্রসর মানুষ হিসেবে জনস্বার্থে রাষ্ট্র ও অন্যান্য বিষয়াদি সম্পর্কে সঠিক ও পর্যাপ্ত তথ্য সংগ্রহ করবেন এবং তা জনগণের উদ্দেশে প্রকাশ করবেন । এ ব্যাপারে প্রেস কাউন্সিল অ্যাক্ট ১৯৭৪ – এর ১১ ( ২ ) ( বি ) ( সি ) ধারায় বর্ণিত সাংবাদিকদের আচরণবিধিতে বলা হয়েছে , জনগণকে আকর্ষণ করে অথবা তাদের ওপর প্রভাব ফেলে ,এমন বিষয়ে জনগণকে অবহিত রাখা একজন সাংবাদিকের দায়িত্ব ।
এছাড়া প্রেস কাউন্সিল অ্যাক্ট ১৩ ( ২ ) ধারা অনুযায়ী সাংবাদিককে তার সূত্র প্রকাশে বাধ্য না করারও নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে । অর্থাৎ , সাংবাদিকদের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার রাষ্ট্রের সাধারণ নাগরিকদের তথ্যপ্রাপ্তি অধিকারের চেয়েও বেশি গুরুত্ববহ ।
কাজেই সাংবাদিকদের সঙ্গে তথ্যসূত্রগুলোর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ স্থাপন গুরুত্বপূর্ণ । সেক্ষেত্রে তথ্য সংগ্রহকালে তথ্যসূত্রসমূহ থেকে কী ধরনের সহযোগিতা , অসহযোগিতা মেলে তা বিবেচনায় আনতে হবে । তাহলেই সংবাদ – তথ্যের বিস্তৃত জগতে প্রবেশাধিকার ঘটবে । তথ্য অধিকার আইন কার্যকর হওয়ায় কিছু বিশেষ ক্ষেত্র থেকে সাংবাদিকদের তথ্য পাওয়ার বিস্তৃত সুযোগ ঘটবে।

যেমন :—

দারিদ্র্য দূরীকরণ কার্যক্রম উন্নয়নঃ – দৃষ্টিকোণ থেকে দারিদ্র্য দূরীকরণে যে কার্যক্রম পরিচালিত হয় তাতে সরকার সম্পর্কে , সরকারের দায়িত্ব , নাগরিক হিসেবে জনগণের অধিকার , সরকারি সেবা ও সুবিধা পাওয়ার দিকগুলোর ব্যাপারে মানুষ সব সময়ই জানতে চায় । জনগণের উন্নয়নের জন্য পরিচালিত বিভিন্ন কর্মপ্রক্রিয়া , নারী – পুরুষের সমতা প্রতিষ্ঠায় জাতীয় ও স্থানীয় সরকারের কার্যক্রম , সেবা খাতে তাদের কাজ , এলাকায় সম্পদ বরাদ্দের পরিমাণ সম্পর্কে তথ্য দেওয়া বা তথ্য পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত হলেই এ ব্যাপারে সব জানা যাবে । জনগণের নিরাপত্তা , অধিকার আদায় ও সুরক্ষার জন্য প্রণীত এই আইন তাই এ বিষয়ে সংবাদ আহরণের সুযোগ অনেক বাড়িয়ে দেবে ।

সুশাসন প্রতিষ্ঠার কাজঃ— সুশাসনের অন্যতম প্রথম শর্ত হচ্ছে জবাবদিহি । সেজন্য সরকার , প্রশাসন , সরকারি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম – সংক্রান্ত তথ্য নিজ উদ্যোগে প্রকাশ করতে হয় । কিন্তু সরকারি গোপনীয়তার নামে সরকারের এই কাজের ধারার তথ্য প্রকাশ করা হয় না , যে জন্য দুর্নীতি বেড়ে যায় । নাগরিকের কাছ থেকে কর আদায় করে কী কী সেবা দেওয়া হচ্ছে , সরকার পরিচালনায় সেই অর্থ কীভাবে ব্যয় করা হচ্ছে , কেন করা হচ্ছে তাও জানার সুযোগ থাকে না । একইভাবে সরকারি বা বিদেশি অর্থে পরিচালিত বেসরকারি সংগঠনের কাজ প্রকৃত অর্থে জনগণের কল্যাণে হচ্ছে কি না , না দুর্নীতির কারণে জনগণ বঞ্চিত হচ্ছে– এসব জানার দিকেও এই আইন সাংবাদিকদের মনোযোগ বাড়িয়ে দেবে ।

রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তাঃ— তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা কাজে জড়িত সেই সব তথ্যই কেবল জনগণ জানতে পারবে যেগুলো রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা – কাজে নিয়োজিত সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত । দুর্নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত তথ্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দিতে হবে । এ ছাড়াও যেসব তথ্য প্রকাশ বাধ্যতামূলক নয় , এ রকম তথ্যের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হওয়ার কারণে কোনো অনুরোধ সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করা যাবে না । অনুরোধের যতটুকু অংশ প্রকাশের জন্য বাধ্যতামূলক নয় এবং যতটুকু অংশ যৌক্তিকভাবে পৃথক করা সম্ভব , ততটুকু অংশ অনুরোধকারীকে সরবরাহ করতে হবে । এ ক্ষেত্রে আইনের বিধানগুলো বিবেচনায় রেখেই সাংবাদিক কিংবা একজন গণমাধ্যম কর্মী কে এগিয়ে যেতে হবে ।

ব্যক্তিখাতের কার্যক্রমঃ— এই আইনে ভোক্তা অধিকার থেকে শুরু করে ব্যক্তিখাতের অনিয়মের তথ্য সরাসরি পাওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই । কিন্তু কোনো নাগরিক ব্যক্তিমালিকানাধীন কোনো প্রতিষ্ঠানের সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য জানতে চাইলে , তা প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বা চুক্তিকারী সংস্থার কাছ থেকে পেতে পারেন । এ ছাড়া কোনো নাগরিক সরকারের কোনো কর্তৃপক্ষের কাছে কোনো তথ্য চাইলে , সে তথ্য তাদের কাছে না থাকলে তৃতীয় পক্ষের কাছ থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন । তবে তারা কত দিনের মধ্যে তথ্য দিতে বাধ্য , সে সম্পর্কে আইনে কিছু বলা নেই । এ ক্ষেত্রে তথ্য আদায়ে সময়কেও হিসাবের মধ্যে নিতে হবে । সাংবাদিককে হোক কিংবা কোন গণমাধ্যম এই সীমাবদ্ধতা মাথায় রেখেই অনুসন্ধানী হতে হবে । পাশা পাশি সাংবাদিকতার মান বাড়বে,দেশ ও জাতি উন্নয়ন হবে। ( কপি সংগ্রহ)।

সৌজন্যে
জাতীয় দৈনিক মাতৃজগত পত্রিকা
মফস্বল সম্পাদক
মোঃ মোজাম্মেল হোসেন বাবু
বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই পত্রিকার সকল সংবাদ, ছবি ও ভিডিও স্বত্ত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ দৈনিক মাতৃজগত    
Developed By Bangla Webs
banglawebs999991