স্টাফ রিপোর্টারঃ
সাতক্ষীরা জেলা বাস, মিনিবাস, কোর্চ, মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন (৫৫০) এর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজ করছে। যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সাধারণ শ্রমিকরা।
শ্রমিকরা জানান, আগামী ২ এপ্রিল সাতক্ষীরা জেলা বাস, মিনিবাস, কোর্চ, মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার কথা ছিল। কিন্তু পক্ষপাতমূলক নির্বাচন কমিশন, ভোটার তালিকায় অনিয়মসহ নানা অভিযোগে নির্বাচন ৩ মাসের জন্য স্থগিত করেছে মহামান্য হাইকোর্ট।
শ্রমিক নেতা শেখ রবিউল ইসলাম হাইকোর্টে রীট পিটিশন ( নং. ৪০৩৭/২০২২) দাখিল করলে বৃহস্পতিবার শুনানী শেষে বিচারপতি আবু তাহের মোঃ সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীম এর বেঞ্চ শুনানী শেষে ৩ মাসের জন্য নির্বাচন স্থগিত ঘোষনা করেন।
এদিকে, সাতক্ষীরা জেলা বাস, মিনিবাস, কোর্চ, মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নেরসহ-প্রচার সম্পাদক ও ধূলিহর গ্রামের আকিমুদ্দীন সরদারের ছেলে নাজমুল হোসেন বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। একই অভিযোগে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান এড. শেখ সাইদুর রহমান, সদস্য সচিব এড. সাহেদুজ্জামান সাহেদ ও সদস্য এড. রফিকুল ইসলামকে শোকজ করেছেন সাতক্ষীরা সদর সহকারী জর্জ আদালত।
এদিকে, এড. শেখ সাইদুর রহমানসহ তিন নির্বাচন কমিশনার নোটিশ জারিকারকের কাছ থেকে শোকজ এর নোটিশ গ্রহণ না করায় ও সাতক্ষীরা জেলা বাস, মিনিবাস, কোর্চ, মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের শ্রমিকদের দু’গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থান করছে।
শ্রমিক নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেছেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যানসহ অন্য সদস্যরা মহামান্য হাইকোর্ট ও সদর সহকারী জজ আদালতের আদেশকে অবজ্ঞা করে নির্বাচন সম্পন্ন করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তারস একে অপরকে নানাবাবে হুমকি দিয়ে চলেছেন, ফলে বাসটার্মিনাল ও আদালত এলাকায় গতকাল রাত হতে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় ঘটতে পারে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। আদালত প্রাঙ্গনে শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন ঘিরে শ্রমিকদের দু,পক্ষের সংঘর্ষ ও রক্তপাত আদালতের ভাবমূর্তি প্রশ্ন বিদ্ধ হবে যা কারোর কাম্য নয় বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন বিজ্ঞ আইনজীবীরা।
এ ব্যাপারে তারা অনতিবিলম্বে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।