নওগাঁ জেলার সাপাহার উপজেলার সু-মিষ্ঠ আম গত বছর বিদেশের মাটিতে সুনাম কুড়িয়েছে আমের গুণগত মান ঠিক থাকায় এবছর আবারো প্রথম ধাপে ১০০০ কেজি আম ইংল্যান্ডে রপ্তানি হয়েছে।
ইংল্যান্ডে রপ্তানির উদ্দেশ্যে মঙ্গলবার (২১জুন) বছরের ১ম চালানে নওগাঁর সাপাহার ‘বরেন্দ্র অ্যাগ্রো পার্ক থেকে ১ হাজার ২৪০ কেজি আম্রপালি জাতের আম ঢাকার শ্যামপুরে পাঠানো হয়েছে। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে নওগাঁর সাপাহার উপজেলার আমের দ্বিতীয় এই চালান আবারো ইংল্যান্ডে পৌঁছাবে। এসময় বরেন্দ্র অ্যাগ্রো পার্কে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্যাহ আল মামুন।
সাপাহার কৃষি কর্মকর্তা শাপলা খাতুন বলেন, নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে উপজেলায় ৫০ লক্ষ রাসায়নিকমুক্ত আম ব্যাগিং করে বিদেশে পাঠানোর জন্য উপযুক্ত করে তোলা হয়েছে। যা এবছর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যাবে এবং এছাড়াও এবার এ উপজেলা থেকে প্রায় ১০০ টন মতো আম বিদেশে রপ্তানি হবে।
কৃষি উদ্যোক্তা সোহেল রানা বলেন, ১০৭ বিঘা জমিতে গড়ে তোলা বাগানে দেড় হাজার আম্রপালি জাতের আমগাছ আছে। এ বছর প্রায় ৫০ টন আম্রপালি জাতের আমে আমি ব্যাগিং করেছি এবং রাসায়নিক মুক্ত ভাবে তৈরি করেছি যা গত বছরের চেয়ে আরো বেশি চাহিদা হবে। কারণ, রোগবালাইমুক্ত আমই বিদেশে যায়। এরপরও যেসব আম বিদেশে রপ্তানি করা হবে, সেগুলো ঢাকাতে পরীক্ষা করা হয়।
তিনি আরোও বলেন আমি আম রপ্তানিতে উৎসাহিত হয়েছি বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা ইনিস্টিটিউট (বারী)‘র সিনিয়র সাইন্টিফিক অফিসার ড.শরাফউদ্দীন যিনি ফ্রুট ব্যাগিং এর মধ্যেও পিইচডি করা, তিনি আম রপ্তানি কাজে জড়িত সে আমাকে বলেন সাপাহারে যে পরিমান কোয়ালিটি পূর্ণ আম উৎপাদন হয় তুমি কোয়ালিটিপূর্ণ আম গুলো বিদেশে রপ্তানি করতে পারো। তার পরামর্শ ক্রমে বাংলাদেশ ফ্রুড অ্যান্ড ভেজিটেবল এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে আমি ইংল্যান্ডে আম রপ্তানি করেছি।
ওই পরীক্ষার মাধ্যমে আমে কোনো রোগবালাই বা কীটনাশক আছে কি না, তা নিশ্চিত করা হয়। এরপর তা বিদেশে পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হয়।
গত বছর আমি ১৫ টন মতো আম রপ্তানি করেছি এবং দেশের বাজার দর তুলনায় অনেক বেশি লাভবান হয়েছি তাই আমি এবছর ৫০ টন আম রাসায়নিক মুক্ত ভাবে ব্যাগিং করে তৈরি করেছি। এ বছর আম্রপালি, ব্যানানা ম্যাঙ্গো, কাটিমন, বারি আম-৪ ও মিয়াজাকি জাতের গাছের আমে ফ্রুট ব্যাগিং করেছি।
এই আম গুলো যুক্তরাজ্য ছাড়াও ফিনল্যান্ড, ইতালি ও সুইডেন সহ বিভিন্ন দেশে যাবে এবং আমি সাড়াও পাচ্ছি।