নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার পঙ্গু রহিমা খাতুন সাহায্য চায়, সে প্রশাসনের সাহায্যের জন্য আকুতি মিনতি করে এরওর কাছে বলছে।রহিমা খাতুনের স্বামী রিয়াজ উদ্দিন অনেক আগেই মারা যায় খুব কষ্টই চলছিল তার তিন মেয়ে এক ছেলে তার সংসার,।হঠাৎই মেঝো মেয়ে ছুলেমা খাতুন নিখোঁজ হওয়ায় রহিমা খাতুন ঢাকায় যায়, সেখানে বাস দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হলে ঢাকার এক পুলিশ সদস্য তাকে উদ্ধার করে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করালে ডাক্তার তার একটা পা কেটে ফেলার পরামর্শ দিলে
সেখানে রহিমার ডান পা টি কেটে ফেলা হয়।তারপর থেকেই সে শয্যাশায়ী।
দুর্গাপুরের বিরিশিরি ইউনিয়নের বাড়ই পাড়া গ্রামে জঙ্গলের পরিত্যক্ত একটা ঘরে রহিমা বসবাস করেন।
বৃষ্টিতে হলেই ঘরে পানি পড়ে,
নেই কোনো আলোর ব্যবস্থা।চলাচলে অক্ষম এই স্বামী হারা নারী খুব অসহায় হয়ে পড়েছে।সাহায্যের জন্য ঘুরছে হন্যে হয়ে। রহিমা বলেন “আমার একটা হুইল চেয়ার আর মাথা গোজার জন্য একটা ঘর হলে আমি কিছু একটা কর্ম করে খেতে পারব। স্বামী ছাড়া আমি এক অসহায় নারী। আমার জন্য একটা কিছু সাহায্যের ব্যবস্থা করেন, ইউএনও স্যারের কাছে যেতে পারি না, এমন অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছে রহিমা, কথা বলার সময় তার চোখ ছলছল করছে।