সিরাজগঞ্জ জেলার বহুলী ইউনিয়নের গোবিন্দপুর ইসলাম পুরের আলী আকবর হোসেন মুক্তিযোদ্ধ কালীন সময়ে দেশের জন্য জীবন বাজি রেখে পাক-হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে ব্যাপক ভূমিকা পালন করেন আলী আকবর। এবং যুদ্ধ শেষে সিরাজগঞ্জ জেলা সেক্টর কমান্ডার ও চিফ অফ মুক্তি ব্যাচ কর্তক একটি মুক্তি যোদ্ধা সনদ অর্জন করেন। তার সনদ মেমোনং ২৫৩৮ তাং ৫/১/৭২
গত ২৮ ফেব্রয়ারী ২০১৪ তারিখে মুক্তি যোদ্ধা গেজেট তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আবেদন করেন আলী আকবর কিন্তু সেই আবেদন কোথায় পড়ে আছে জানেন না তিনি। আলী আকবর সিরাজগঞ্জ শলিয়াবাড়ি সহ অনান্য ক্যাম্পে অংশ গ্রহন করেন এবং তার সহযোগী যারা ছিলেন তারা সবাই মারা গেছে বর্তমানে তিনিই বেচে আছি। এদিকে গত সোমবার প্রকৃত মুক্তি যোদ্ধা আকবর আলীর সাথে কথা বলে জানা যায় তিনি বলেন ১৯৭১ সালে ৭ ই মার্চ বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের আহবানে সাড়া দিয়ে যুদ্ধে অংশ গ্রহন করি এবং স্থানীয় মুজিব বাহিনীর প্রতিষ্ঠত গোপনীয় ঘাঁটিত আগ্নেয়াস্ত্র পরিচালনা ও গেরিলা যুদ্ধের কৌশল গ্রহন করি। কিন্তু দুখের বিষয় এতো কিছুর পরও আমার নাম মুক্তি যোদ্ধা গেজেট তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয় নাই। তাই আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মুক্তি যোদ্ধা বিষয়ক দপ্তরের নিকট সু নজর কামনা করছি আমাকে যেন অতি সত্তর মুক্তি যোদ্ধা গেজেট তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করে আমার শেষ বয়সের মনের আশা পুরন করেন। আমি যেন সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হই এবং আমি বর্তমানে ছেলে মিয়ে পরিবার নিয়ে খুবই কষ্টে জীবন যাপন করছি । এখন বাস্তবে মুক্তি যোদ্ধের চিত্রগুলো মনে হলে আজও আমার কলিজা কেঁপে ওঠে আমি সইতে না পেরে নিরবে কেঁদে যাই। যাহক আজ আমি বড়ই অসহায় তাই আমি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতি বেচে থাকার তাগিদে একটু দৃষ্টি চাই