এমএইচ খালেদ সিলেটঃসুনামগঞ্জ পৌর শহরের পশ্চিম তেঘরিয়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। তবে ঘাতক স্বামী আব্দুল হামিদ মিল্টন (৪০) কে আটক করেছে সুনামগঞ্জ র্যাব। সে সুনামগঞ্জ সুরমা ইউনিয়নে মঈনপুর গ্রামের লেম্বু মিয়া ছেলে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ দিন আগে স্বামী আব্দুল হামিদের সাথে ঝগড়া করে মঈনপুর গ্রাম থেকে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের পশ্চিম তেঘরিয়া এলাকায় ভাড়া বাসা নিয়ে মঙ্গলকাটা গ্রামের গুলজার আহমদ নামে এক যুবককে স্বামী পরিচয় দিয়ে বসবাস করতে থাকেন। সেই খবর প্রথম স্বামী পেয়ে রোববার দুপুরে পশ্চিম তেঘরিয়া এসে তার স্ত্রী সাথে দরজা লাগিয়ে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয় পরে ঘরে থাকা দা দিয়ে রাগের মাথায় ঘাতক স্বামী স্ত্রী মাথায় আঘাত করলে চিৎকার দিয়ে সে মাটিতে পড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা দরজা খুলতে বললে সে দরজা খুলে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে বাসার মালিক ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে ঘটনাটি বললে পুলিশ তাৎক্ষণিক ভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে ও নারীকে উদ্বার করে সুনামগঞ্জ ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে পাটালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খুন হওয়া রিপা বেগম (২৮) বড় মেয়ে ফাহমিদা জাহান বলেন, আমি পাশের ঘরে এসে টিভি দেখছিলাম। হটাৎ আমার বাবা এসে ঘরের দরজা লাগিয়ে মায়ের সাথে কথা বলতে থাকে। পরে মায়ের চিৎকার শুনে পাশের ঘরের খালা সহ আমরা সবাই দৌড়ে যাই। পরে বাবাকে দরজা খুলার জন্য অনুরোধ করলে বাবা দরজা খুলে দৌড়ে পালিয়ে যায় এবং মা মাটিতে থাকে। বাসার মালিক আরিফুর রহমান বলেন, আমাদের বাসায় ১৫ দিন আগে রিপা বেগম ভাড়া নেন। তিনি জানান উনার স্বামী গুলজার আহমদ ও এক মেয়েকে নিয়ে থাকবেন। সেই অনুযায়ী আমরা তাদের বাসা ভাড়া দেই। কিন্তু আজকে হটাৎ তার প্রথম স্বামী এসে তাকে দা দিয়ে আঘাত করে চলে যায়। পরে আমি ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে পুলিশকে বিষয়টি জানাই। সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) জয়নাল আবেদীন বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন হয়েছেন। ঘাতক স্বামীকে আটক করেছে সুনামগঞ্জ র্যাব।