বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:১১ পূর্বাহ্ন

হবিগঞ্জ ঈদের বাজার জামে উঠেছে ।

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২২
  • ১৭০ বার পঠিত

হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
সারাদেশের ন্যায় হবিগঞ্জেও জমে উঠেছে ঈদের বাজার। বিপনী বিতানগুলোতে বাড়ছে ক্রেতাদের ভিড়। দিনরাত প্রায় প্রতিটি শপিংমল ও মার্কেটে চলছে বেচাকেনার ধুম। গত বছরের চেয়ে এবারের ঈদে ক্রেতাদের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য ।

গতবছর হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং, আজমিরীগঞ্জ, লাখাই ও নবীগঞ্জের ভাটি অঞ্চলের অকাল বন্যার প্রভাবে ঈদের কেনাকাটায় ভাটা পড়েছিলো। নিম্ন আয়ের লোকজনও ঈদের কেনাকাটা করতে পারেননি। তবে এবারের চিত্রটা সম্পুর্ণ বিপরীত। হাওর অঞ্চলে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসল ঘরেও তুলেছেন। ফলে ঈদের বাজারও গত বছরের তুলনায় বেশি জমজমাট।
এদিকে চুনারুঘাট, শায়েস্তাগঞ্জ,বাহুবল পৌরসভার হাট বাজার সমান তালে ঈদের বাজার জামেউঠেছে

আজ রবিবার (২৪ এপ্রিল হবিগঞ্জ শহরের ঘাটিয়া বাজারসহ বিভিন্ন এলাকার বিপনীবিতানগুলো ঘুরে দেখা গেছে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। অত্যাধুনিক শংকর সিটির শংকর বস্ত্রালয়, এসডি স্টোর, এসডি প্লাজা, মনিহার বস্ত্রালয়, খাজা গার্ডেন সিটিসহ বিভিন্ন বিপনীবিতানের পরিচালকের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, এখন অনেকে প্রথম রমজানের পর থেকেই ঈদের কেনাকাটা শুরু করেন। এর কারণ হলো রমজানের ঈদ যখন সামনে ঘনিয়ে আসে, তখন মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় বাড়তে থাকে। এ কারণে অনেকে ঝামেলা এড়াতে আগেই ঈদের কেনাকাটার কাজ শেষ করে রাখেন।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এখনও মার্কেটগুলোতে প্রবাসীর স্ত্রী-সন্তান, ব্যবসায়ীসহ অন্যান্য পেশার লোকজনই কেনাকাটা করছেন। চাকুরিজীবীরা বেতন ও ঈদ বোনাসের টাকা পাওয়ার পর কেনাকাটা করবেন। নিম্ন আয়ের লোকজন ঈদের ৩/৪ দিন পূর্বে ঈদের কেনাকাটা করে থাকেন। এবার ১৫ রমজান থেকেই বিশেষ করে ঈদের কেনাকাটা জমতে শুরু করেছে। এর মধ্যে ১৮ রমজান থেকে ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে। ২৫ রমজানের পর সকাল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত দোকানগুলো খোলা থাকবে।

এবার ঈদে তরুণী ও যুবতীরা ভারতীয় হিন্দি সিরিয়ালের নামে থ্রি পিসগুলো পছন্দ করে ক্রয় করছেন। ভারতীয় কাপড়ের ভিড়ে বাংলাদেশি কাপড়ের কদর অনেকটা কম লক্ষ্য করা যাচ্ছে হবিগঞ্জ ব্যবসায়ীরাও সে হিসেবে রমজান শুরুর মাসখানেক আগ থেকে ভারত থেকে কোটি কোটি টাকার জামা-কাপড় ক্রয় করে এনেছেন। ভারতীয় বিভিন্ন রকম পোশাকের মধ্যে এবার মার্কেটগুলো থেকে তরুণীরা বেশির ভাগই ভারতের ডালিয়া নামে থ্রি পিস ক্রয় করছেন।

ভারতীয় পোশাকের মধ্যে ডালিয়া প্রতি পিস ৩ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে, কাতানের মধ্যে থ্রি পিস রাউন ২ হাজার থেকে ৪ হাজার ও ৫ হাজার টাকা, সিল্ক ২ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা, কার্মিজ ফোর পিস ১৬ শ থেকে ৩ হাজার টাকা, রাখী থ্রি পিস ২ হাজার থেকে ৯ হাজার, গর্জিয়াস পার্টি ৪/৫ হাজার টাকা, রাউন্ড টুপিস সাড়ে ৩ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।

ভারতীয় বাহুবলী, বাহুবলী-২, পানসী, গ্লোসী, সারারা, মাসাকালী, সাগরিকা, পিওনা, ক্রামা, পাখি, ফ্লোরটাচ, মাসাক্কালি, আশিকী, আনারকলি এবং লং কামিজ। এছাড়া হিন্দি সিরিয়াল ও সিনেমার বিভিন্ন নায়িকাদের নামানুসারে থ্রি পিসের চাহিদাও ব্যাপক বলে জানান বিক্রেতারা। বাহুবলী-২ ৪ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য পোষাকও দুই হাজার থেকে শুরু করে ১৫ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। শাড়ীর মধ্যে মুসলিম কাতান ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা, কামিজ বরণ ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার, মেঘদূত ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার, বেঙ্গালো পিওর শাড়ী ৮ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ছোটদের পোশাকেও রয়েছে ভিন্নতা। মেয়ে শিশুদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে লং ফ্রক ও পার্টি ফ্রক। এছাড়া মার্কেটগুলোতে উঠেছে লেহেঙ্গা ও লং কামিজ। গরমকে সামনে রেখে ছেলে শিশুদের চাহিদার শীর্ষে রয়েছে সুতি টি-শার্ট ও বাবা স্যুট। এ ছাড়া আছে বিভিন্ন ডিজাইনের প্যান্ট। ঈদে তরুণদের পোশাকেও রয়েছে ভিন্নতা। তবে প্রতিবারের মতো এবারেও ভিন্ন ভিন্ন ডিজাইনের পাঞ্জাবির সমাহার দেখা গেছে দোকানগুলোতে। সিল্কের ব্যবহার করে খাদি পাঞ্জাবির আকর্ষণীয়তা বাড়ানো হচ্ছে। পোশাক ছাড়াও জুতা ও প্রসাধনীর দোকানে ভিড় বাড়ছে। অনেকে পোশাকের সঙ্গে মানানসই গহণাও কিনে নিচ্ছেন।

মার্কেটগুলোতে এখন ক্রেতাদের বেশির ভাগই মহিলা ও তরুণ-তরুণী। আবার অনেক বাবা-মা তাদের সন্তানদের পছন্দের জামা কাপড় ক্রয় করতে বাজারে এসেছেন। তবে ক্রেতারা জানান , অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার কাপড়ের দাম বেশি। অপরদিকে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার কাপড়ের দাম কিছুটা কম।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর..
এই পত্রিকার সকল সংবাদ, ছবি ও ভিডিও স্বত্ত্ব সংরক্ষিত © ২০২১ দৈনিক মাতৃজগত    
কারিগরি সহযোগিতায়ঃ Bangla Webs
banglawebs999991