শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০৬ পূর্বাহ্ন
ঘোষনা
উন্নয়ন, শান্তি ও সমৃদ্ধির ১৫ বছরে পদার্পণ: করেছেন এমপি শাওন উন্নয়ন, শান্তি ও সমৃদ্ধির ১৫ বছরে পদার্পণ: করলেন এমপি শাওন সরবরাহ থাকলেও কমছে না সবজির দাম সিরাজগঞ্জে আচারন বিধি ভঙ্গ করে নির্বাচনী প্রার্থীকে নিয়ে ভোট চাইছেন এক সরকারি কর্মচারী শিবগঞ্জে সানামসজিদ স্থলবন্দরে হিট স্ট্রোকে ট্রাফিক পরিদর্শকের মৃত্যু সিরাজগঞ্জ সলঙ্গায় গণধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় পলাতক প্রধান আসামি গ্রেফতার সিরাজগঞ্জে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে উপকরণ বকনা বাছুর বিতরণ র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‌্যাবের নতুন মুখপাত্র হলেন কমান্ডার আরাফাত মাটি খননের সময়ে বেড়িয়ে আসা মাইন ও মর্টার সেল বিস্ফোরণ ঝিনাইদহে বৃষ্টির আশায় কেঁদে বুক ভাসালেন মুসল্লীরা

আসামির সোয়া লাখ টাকা গায়েব করল পুলিশ!

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১১ মার্চ, ২০২৩
  • ৯৩ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়ে আসামির বাড়ি থেকে উদ্ধার করা সোয়া লাখ টাকা পুলিশ গায়েব করে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আসামির স্বজনদের দাবি, বাড়ি থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছিল ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। তবে জব্দ তালিকায় পুলিশ টাকার অংক দেখিয়েছে মাত্র ১৩ হাজার ৪০ টাকা। বাকি ১ লাখ ১৬ হাজার ৯৬০ টাকা অভিযান চালানো পুলিশ সদস্যরা ভাগবাঁটোয়ারা করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

 

রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানা পুলিশের একটি দল বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের বহরমপুর এলাকার মো. সেন্টুর বাড়িতে এ অভিযান চালায়। সেন্টু একজন মাদকসেবী বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। পুলিশ সেন্টুর সঙ্গে তার স্ত্রী মিতা পারভীনকেও গ্রেপ্তার করে। পরে ৩০ গ্রাম হেরোইন ও ১০ পিস ইয়াবা বড়ি উদ্ধার দেখিয়ে পুলিশ বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করে। এরপর বিকালে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

 

মিতা ও সেন্টুর স্বজনদের দাবি, মিতা বেসরকারী সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে বাড়ির কাজ করছিলেন। বাড়িতে তার ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা ছিল। পুলিশ এই টাকাও জব্দ করেছিল। কিন্তু মামলার জব্দ তালিকায় মাত্র ১৩ হাজার ৪০ টাকা দেখানো হয়েছে। বাকি টাকা অভিযানে অংশ নেওয়া উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল জলিল এবং সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মজনু মিয়া আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ গ্রেপ্তারকৃতদের স্বজনদের।

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোবাইলে কোন মন্তব্য করতে চাননি এএসআই মজনু মিয়া। তিনি কথা বলার জন্য থানায় ডাকেন। এসআই আবদুল জলিল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, স্বাক্ষীদের সামনে জব্দ তালিকা করা হয়েছে। সাক্ষীরা সবই দেখেছে। এসব অভিযোগ করে লাভ নেই।

 

থানায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই মামলায় তুষার ও কালাম নামের দুই নির্মাণ শ্রমিককে সাক্ষী করা হয়েছে। অভিযান চালানোর সময় তারা সেন্টুর বাড়িতেই কাজ করছিলেন। যোগাযোগ করা হলে তুষার বলেন, ঘর থেকে পুলিশ বেরিয়ে বলেছে হেরোইন ও ইয়াবা পাওয়া গেছে। তারপর কাগজে সই নিয়ে তাদের সাক্ষী করা হয়েছে। তবে হেরোইন ও ইয়াবা তিনি দেখেননি। কত টাকা উদ্ধার হয়েছে সেটিও পুলিশ দেখায়নি।

 

জানতে চাইলে রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএসএম সিদ্দিকুর রহমান বলেন, সেন্টু মাদক ব্যবসা করে। তার বাড়ি থেকে হেরোইন ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। যে টাকা উদ্ধার হয়েছে সেটিই জব্দ তালিকায় দেখানো হয়েছে। আসামির স্বজনেরা এখন ১ লাখ ৩০ হাজার কেন, পাঁচ কোটি টাকা বলতে পারে। তারা এ কারণে বলছে যেন পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানকে বিতর্কিত করা যায়। তাহলে আর অভিযান হবে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর..
এই পত্রিকার সকল সংবাদ, ছবি ও ভিডিও স্বত্ত্ব সংরক্ষিত © ২০২১ দৈনিক মাতৃজগত    
কারিগরি সহযোগিতায়ঃ Bangla Webs
banglawebs999991