শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৫:৫৬ অপরাহ্ন
গাইবান্ধা জেলা ব্যুরো প্রধানঃ
গাইবান্ধা জেলা শহরে বিশ্বনবী মুহাম্মদকে (সা.) কটূক্তির প্রতিবাদে ইমাম-ওলামা পরিষদসহ কয়েকটি সংগঠনের মিছিল থেকে পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলন মঞ্চে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হামলাকারীরা চেয়ার-টেবিল ও মাইক ভাঙচুর করাসহ বেশকিছু ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলে।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর শহরের পৌর শহীদ মিনার এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। যদিও হামলার পরপরেই জড়িত সন্দেহে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ১৬ জনকে আটক করেছে বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, জুমার নামাজের পর শহরের বিভিন্ন মসজিদ থেকে বিশ্বনবীকে কটূক্তির প্রতিবাদে মিছিল বের হয়। এই মিছিলে জেলা ইমাম-ওলামা পরিষদ ও ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনসহ কয়েকটি ইসলামী দলের ব্যানারে শতশত নেতাকর্মী অংশ নেয়।
শহরের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে বের হওয়া মিছিলটি কাচারি বাজার মসজিদের সামনে এসে সমাবেশ করে।
সমাবেশস্থলের পাশেই শহীদ মিনার চত্বরে পূর্ব নির্ধারিত পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলন মঞ্চ থেকে মাইকের উচ্চ আওয়াজ আসে। এসময় কিছু মিছিলকারী উত্তেজিত হয়ে মাইক বন্ধের দাবি জানায়। এক পর্যায়ে তারা মঞ্চে হামলা চালিয়ে মাইক, চেয়ার টেবিল ও ব্যানার-ফেস্টুন ভাঙচুর করে।
এদিকে, হামলা-ভাঙচুরের ঘটনার ছবি ধারনের সময় ডিবিসি নিউজের ক্যামেরাপার্সন সুমন মিয়াকে মারধর করে আহত করা হয়। এসময় তার হাতে থাকা ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ করেন ডিবিসি নিউজের প্রতিনিধি রিক্তু প্রসাদ।
এই হামলা-ভাঙচুর ঘটনার পর তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানিয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল করেন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। এসময় হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ রঞ্জু বলেন, পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলন ভূণ্ডুল করতে আগে থেকে পরিকল্পনা ছিলে। সেই পরিকল্পনা মোতাবেক বিশ্বনবীকে কটূক্তির প্রতিবাদের মিছিলে অংশ নিয়ে হামলার ঘটনা ঘটানো হয়। এই হামলাকারী জামায়াত-শিবিরের নাকি ইসলামী কোন দলের নেতাকর্মী তা তদন্ত করলে পুলিশ নিশ্চিত হতে পারবে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান জানান, হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১৬ জনকে আটক করা হয়েছে। আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করে হামলার কারণ এবং জড়িত অন্যদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
তবে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেষ্টা করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি গাইবান্ধা জেলা ইমাম-ওলামা পরিষদ ও ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত নেতাদের।
