রানা ইস্কান্দার রহমান গাইবান্ধা জেলা ব্যুরো প্রধানঃ
কারাগার-থেকে-এসএসসি-পরীক্ষা-চার-শিক্ষার্থীর গাইবান্ধা জেলা কারাগার
দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ও আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী চার পরীক্ষার্থী গাইবান্ধা জেলা কারাগারে বসে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। কারাগারের একটি কক্ষে একজন শিক্ষকসহ পুলিশ পরীক্ষা গ্রহণের দায়িত্বপালন করছেন।
গাইবান্ধা জেলা কারাগার থেকে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরিক্ষা দিচ্ছেন জেলার চার শিক্ষার্থী। তারা কারাগারের একটি কক্ষে বসে সকাল ১০ টায় শুরু হওয়া বাংলা ১ম পত্রের (আবশ্যিক) পরিক্ষায় অংশ নেয়।
রোববার বেলা পৌনে ১২ টার দিকে জেলে বসে ওই চার শিক্ষার্থীর পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেন গাইবান্ধা জেলা কারাগারের জেল সুপার নজরুল ইসলাম।
পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন, গাইবান্ধা সদর উপজেলার বিষ্ণপুর গ্রামের আজাদ আকন্দের ছেলে নাহিদ আকন্দ, সাদুল্লাপুর উপজেলার রসুলপুর গ্রামের কালাম শিকদারের ছেলে কাওসার শিকদার, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শান্তিরাম গ্রামের আতাউর রহমানের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক ও একই উপজেলার একই গ্রামের ফরিদুল ইসলামের ছেলে বাদশা মিয়া।
তাদের মধ্যে নাহিদ সাদুল্লাপুরের ইদরাকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। সে সাদুল্লাপুর বহুমুখী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ছিল। কাওসার শিকদার একই উপজেলার রসুলপুর দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। সে নলডাঙ্গা ডব্লিউ সি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ছিল। এছাড়া রাজ্জাক ও বাদশা মিয়া সুন্দরগঞ্জের এম সি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তারা দুজনে ধর্মপুর ডি.ডি এম উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ছিল।
নাহিদ ও কাওসার সিকদার চলতি বছরের একটি হত্যা মামলার আসামী। অপর দুজন রাজ্জাক ও বাদশা মিয়া একটি গত বছরের অপহরণ করে হত্যা মামলার আসামী।
গাইবান্ধা জেলা কারাগারের জেল সুপার মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ও আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী চার পরীক্ষার্থী গাইবান্ধা জেলা কারাগারে বসে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। কারাগারের একটি কক্ষে একজন শিক্ষকসহ পুলিশ পরীক্ষা গ্রহণের দায়িত্বপালন করছেন।
‘নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা গ্রহণ ও শেষ করতে কারাগরের পক্ষ থেকে সকল ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়। পরীক্ষা শুরু হওয়া থেকে এখন পর্যন্ত তারা ভালোভাবে পরীক্ষা দিচ্ছে।
জেলায় ৭৩ টি কেন্দের বিপরীতে পরিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৫ হাজার ৭৩ জন। এর মধ্যে এসএসসি ২৭ হাজার ৩৪৭, দাখিল ৪ হাজার ৯১৯, ভোকেশনাল ২ হাজার ৭৫২ ও দাখিল-ভোকেশনাল ৫৫ জন।