লালন মন্ডল,ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহের ভিকটিম একজন ১৩ বছর বয়সী নাবালিকা প্রতিবন্ধী। ধৃত আসামী এবং ভিকটিম একই এলাকার প্রতিবেশী। সেই সুবাদে ভিকটিমকে পূর্ব হতেই বিভিন্ন
টাকা পয়সা ও বিভিন্ন জিনিসের প্রলোভন দেখিয়ে আসছিলো। গত (১৮ নভেম্বর) ২০২৩ইং তারিখে দুপুরের দিকে প্রতিবন্ধী ভিকটিম শুপারী কাটার জন্য ধৃত
আসামীর বাড়ীতে যায়। সে সময় বাড়িতে কেউ না থাকায় ধৃত আসামীসহ তার দুই বন্ধু সহযোগী আসামীদ্বয়সহ প্রতিবন্ধী ভিকটিমকে ফুসলাইয়া বিভিন্ন প্রলোভনে
ভিকটিমকে ঘরের মধ্যে নিয়ে ধ্বস্তাধ্বস্তির এক পর্যায়ে মুখ চেপে ধরে ওয়ালের সাথে ধাক্কা দিলে ভিকটিম অজ্ঞান হয়ে গেলে ধৃত আসামী তাকে ধর্ষন
করে। অন্য সহযোগী আসামীদ্বয় বাহিরে পাহারা দিতে গেলে ভিকটিমের মাতা ঘটনাস্থলে পৌছালে; সহপাঠি আসামী দুইজন পালিয়ে গিয়ে দেশীয় তৈরী রামদা ও
গাছিদা নিয়ে এসে ভিকটিমের মাকে খুন জখমের ভয় দেখিয়ে প্রধান আসামীকে পালানোর সহায়তা করে।
ভিকটিমের মাতার ডাক চিৎকারে আশে পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে ভিকটিমকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। বিষয়টি নিয়ে নাবালিকা প্রতিবন্ধী ভিকটিমের মাতা বাদী হয়ে ঝিনাইদহের
সদর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। র্যাব-৬ এর আভিযানিক দল বিষয়টি জানতে পেরে ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং প্রধান ধর্ষনকারীসহ সহযোগী আসামীদের
গ্রেফতারের লক্ষ্যে অভিযান অব্যাহত রাখে।
এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য (১৯ নভেম্বর) ২০২৩ইং র্যাব-৬, ঝিনাইদহ ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে,
উক্ত ধর্ষণ মামলার প্রধান পলাতক আসামী ঝিনাইদহ জেলার সদর থানাধীন কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় আত্মগোপন করে আছে। প্রাপ্ত সংবাদের
ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের উদ্দেশ্যে আভিযানিক দলটি একই তারিখ দিবাগত রাতে ঝিনাইদহ জেলার সদর থানাধীন কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে উক্ত ধর্ষন মামলার প্রধান পলাতক আসামী-মোঃ ওমর আলী(৩০), পিতাঃ মোঃ বিল্লাল হোসেন, সাং- ছোট ভুটিয়ারগাতি,
থানা-সদর, জেলা-ঝিনাইদহকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক
জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে ঝিনাইদহ জেলার সদর থানায় হস্থান্তর করা হয়।