মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:০৪ অপরাহ্ন
ঘোষনা
দেশজুড়ে বৃষ্টির সুখবর দিলো আবহাওয়া অফিস রাত ৮টার পর শপিংমল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশনা সিরাজগঞ্জে জাটকা ইলিশমাছ সংরক্ষণে জনসচেতনতা সভা অনুষ্ঠিত নওগাঁয় কৃষকদের মাঝে কৃষি প্রণোদনা বিতরণ চাঁপাইনবাবগঞ্জের মহানন্দা নদীতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু ঝিনাইদহ ডিবি পুলিশের অভিযানে দেশীয় তৈরী ওয়ান শ্যুটার গান সহ ০১ জন গ্রেফতার শেরপুরে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ! মহেশপুর সীমান্তে ৩ কোটি টাকার স্বর্ণের বারসহ দুই ভাই আটক মানবসেবার আড়ালে ‘ভয়াবহ’ মিল্টন ডিএমপি ও সমাজসেবা অধিদপ্তরকে তদন্তের নির্দেশ মানবাধিকার কমিশনের শান্তি নিবিড় সেবা ফাউন্ডেশন ও শান্তি নিবিড় পাঠাগার এর পক্ষ থেকে সম্মাননা পদক প্রদান করা হলো

দখল আর ভরাটে বিপন্ন ঈদগাঁওর ঐতিহ্যবাহী ভরাখাল!

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২১ জুন, ২০২৩
  • ২০৯ বার পঠিত

এম আবু হেনা সাগর,ঈদগাঁও ( কক্সবাজার) প্রতিনিধিঃ- দখল ও ভরাটে বিপন্ন ঈদগাঁওর পুরনো ও ঐতিহ্যময় (বাইন্যা) ভরাখালটি। দীর্ঘকাল ধরে দেখার কেউ না থাকার খালের উপর ঘরবাড়ীসহ দোকানপাঠ নির্মানের হিড়িক পড়েছে। এভাবে চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে খালের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ার আশংকা প্রকাশ করেন স্থানীয়রা।

সূত্র মতে, কক্সবাজারের নতুন উপজেলা ঈদগাঁওর বৃহত্তর মাইজ পাড়ার গ্রামীন খালটি এখন ভরা খালে পরিণত হয়ে পড়েছে। এ খাল দিয়ে একসময় পাল তোলা নৌকা চলাচল করত। বর্তমানে খালের অস্তিত্ব বিলুপ্তির পথে। চলছে একের পর এক খাল দখলের মহোৎসব। কালের পরিক্রমায় সে খালের বুকে এখন পাকা-আধা-পাকা দালানে সমারোহ। দখলের থাবায় খাল এখন নিজস্ব স্বকীয়তা হারিয়ে ফেলছে। খালটি স্বচল করার দাবী।

দেখা যায়, ঈদগাঁও মেহেরঘোনা জলনাসী যেটি উত্তর-মধ্যমসহ দক্ষিন মাইজপাড়া হয়ে চৌফলদন্ডীর বুকচিরে মহেশখালী চ্যানেল দিয়ে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মিলিত হয়। এখন সে চির চেনা বৃহৎ এলাকার খালটি নানাভাবে বেদখলে চলে গেছে। কেউ করে খালের পাশ ঘেঁষে দালান কেউ করে দোকান ঘর,কেউবা খালের মুল অংশ পর্যন্ত মাটি দিয়ে ভরাট করে রেখে। ফলে খালটি অস্তিত্বহীন হয়ে পড়ে। পূর্বের মত খোলাসা খাল আর নেই। এমনকি অনেকে খালের মাঝ অংশে মাটি ফেলে ঘিরে রাখে। অন্য অংশ দিয়ে পানি নিস্কাশনে ব্যাঘাত ঘটছে। এসব দেখার যেন কেউ নেই।

স্থানীয় লোকজন জানান, এখন খাল বেদখল, পানি ও মাছ শুন্য। ক্ষীণধারা বয়ে যাওয়া খালে দুই ধারে এখন গড়া দোকান পাট এবং পাকা দালান। দখল আর দূষণের থাবা থেকে খালটি কে মুক্ত করে খনন করা না হলে আগামীতে এসব খালের কোন স্মৃতি চিহ্ন খোঁজে পাওয়া যাবেনা। প্রতিবর্ষা মৌসুমে পানি সুষ্টভাবে চলাচল করতে না পারায় দু-কুলই পানিতে প্লাবিত হয়ে পড়ে। পানি যাতায়াতের সু ব্যবস্থা না থাকায় প্রতি বর্ষা মৌসুমে সারাক্ষন পানিবন্দি থাকে হাটাচলার পথও।

বয়োবৃদ্বরা জানান, এটি একসময় বড় খাল ছিল। খাল দিয়ে নৌকা সাম্পান চলাচল করত, মাছও পাওয়া যেত বলে শুনেছেন। অব্যবস্থাপনা কারণে পানি প্রবাহ হারানো খাল এভাবে দখলে চলে যাচ্ছে। খাল উদ্ধারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তড়িৎ পদক্ষেপ এখন সময়ের গনদাবী।

সচেতন মহল জানান,অবিলম্বে এ ভরাখালসহ ছড়াখাল দখলমুক্ত করে খননের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা না গেলে এসব খাল অস্তিত্বহীন হয়ে পড়বে। বন্যা ও জলাবদ্বতাসহ নানামুখী দূর্ভোগের কবলে পড়বে বিভিন্ন শ্রেনীপেশার লোকজন। বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাস্তবতার নিরিখে গ্রামীন খাল প্রভাবশালী ব্যাক্তিদের প্রভাবে সংক্ষিন্ন ও ভরাট করে সুবিধাভোগীরা ফায়দা লোটায় পাড়া মহল্লার খাল অস্থিত্ব বিলীনের পথে। এর থেকে উত্তোরনে এসব খাল খনন জরুরী বটে।

সাবেক মেম্বার ছুরুত আলম জানান, গত ৮/৯ বছর পূর্বে ঈদগাঁওর বৃহৎ মাইজ পাড়ার বাইন্যা খালটি খননের মাঝপথে বাঁধা আসায় খনন না করে কৌশলে সটকে পড়েছিল খননের কাজে নিয়োজিত লোকজন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর..
এই পত্রিকার সকল সংবাদ, ছবি ও ভিডিও স্বত্ত্ব সংরক্ষিত © ২০২১ দৈনিক মাতৃজগত    
কারিগরি সহযোগিতায়ঃ Bangla Webs
banglawebs999991