নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ২০২২ সালের ফাইনালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে এক রানে হেরে শিরোপা হাতছাড়া করেছিল ফরচুন বরিশাল। শেষের নাটকীয়তায় ভাগ্যের কাছেই হার মানতে হয়েছিল তাদের! কাছাকাছি গিয়েও স্বপ্ন ছুঁতে না পারার যন্ত্রণা বছর দুয়েক ধরেই বয়ে বেড়াচ্ছে বরিশাল। অবশেষে আরও একবার ফাইনালে কুমিল্লাকে পেয়ে সেই ক্ষতে প্রলেপ দেওয়ার সুযোগ আসে। এবার ভাগ্য সঙ্গেই ছিল ফরচুনদের। কুমিল্লাকে ৬ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বরিশাল। দলের মতোই অধিনায়ক হিসেবে প্রথমবার শিরোপা জয়ের স্বাদ পেলেন তামিম ইকবালও।
শুক্রবার (১ মার্চ) মিরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে দশম আসরের ফাইনালে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রান তোলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
কাইল মেয়ার্সকে ফ্লিক করতে গিয়ে ফাইন লেগে ধরা পড়েন সুনিল নারিন। এই ক্যারিবিয়ান ওপেনার ৪ বলে ৫ রানের বেশি করতে পারেননি।
নারিন দ্রুত ফেরার পর তাওহীদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করেছিলেন লিটন দাস। তবে হৃদয় উইকেটে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ইনফর্ম এই ব্যাটার ১০ বলে ১৫ রান করে সাজঘরে ফিরেছনে।
হৃদয় ফেরার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি লিটনও। অধিনায়কের ব্যাট থেকে এসেছে ১২ বলে ১৬ রান। চারে নেমে জনসন চার্লস আশা দেখালেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১৫ রানে থেমেছেন এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার।
রাসেলের ক্যামিওতে লড়াইয়ের পুঁজি কুমিল্লার
এদিন সুবিধা করতে পারেননি মঈন আলিও। এই ইংলিশ ব্যাটার দলকে বিপদে ফেলে সাজঘরে ফিরেছেন ৬ বলে ৩ রান করে। ৭৯ রানে টপ অর্ডারের ৫ ব্যাটারকে হারিয়ে যখন ধুকছে কুমিল্লা
অঙ্কনের ব্যাট থেকে এসেছে সর্বোচ্চ ৩৮ রান। অঙ্কন ফেরার পর শেষদিকে ঝড় তোলেন আন্দ্রে রাসেল। এই ক্যারবিয়ান হার্ডহিটার ১৪ বলে করেছেন অপরাজিত ২৭ রান। এরমধ্যে ১৯তম ওভারেই তুলেছেন ২১ রান। অপরাজিত ২০ রানের ইনিংসে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন জাকের আলি।