স্টাফ রিপোর্টারঃ
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে নিয়োজিত নির্বাচন অফিসের একটি টিমের ১৩ সদস্যকে মারধর ও ডিভাইস ভাংচুরের মামলায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৬টায় উপজেলার রায়পুর ইউনিয়ন বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ মারধরের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও ২০/২৫ জনকে আসামি করে টিম লিডার ফয়সাল মিয়া বাদী হয়ে আনোয়ারা থানায় একটি মামলা দায়ের করে। ঘটনার পর পুলিশ অভিযুক্ত আসামি মোহাম্মদ রাশেলকে (২১) গ্রেপ্তার করেছে।
শনিবার (২ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করে আনোয়ারা থানার ওসি এস এম দিদারুল ইসলাম সিকদার বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে নিয়োজিত সদস্যদের মারধরের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনার মূলহোতা রাশেলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ আদালতে পাঠিয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার রাশেল উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুল করিমের ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমের নিবন্ধনকৃত ভোটারদের ছবি তোলার শেষ দিন ছিল গত শুক্রবার। বিকেল ৫টার পর ছবি তোলার জন্য লাইনে আর কোনো ভোটার না থাকায় কার্যক্রম বন্ধ করা হয়।
কার্যক্রম বন্ধের পর রাশেল নামে এক লোক তার আত্মীয় পরিচয়ে হেলালের ছবি তোলার অনুরোধ করেন। এ সময় টিমের সদস্যরা তাদেরকে বাদ পড়া ভোটারদের পরবর্তী তারিখে ছবি তোলা হবে বলে জানান। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয় লোকজন ডেকে এনে টিমের সদস্যদের সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাদেরকে কেন্দ্রে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।
এসময় টিমের সবাইকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ ও মারধর করে এবং ভোটার নিবন্ধন কাজে ব্যবহৃত ল্যাপটপসহ ডিভাইস ভাংচুর করে দুই লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি করে তারা। হামলায় ওই টিমের ১৩ সদস্য আহত হন। আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আমিন শরীফ বলেন, ছবি তোলার কার্যক্রম শেষে রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে একটি পক্ষ ষড়যন্ত্রমূলক ঘটনাটি ঘটিয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবু জাফর ছালেহ বলেন, এ ঘটনায় টিম লিডার ফয়সাল মিয়া বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। আমরা আসামিদের গ্রেপ্তারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।