ফারুক হোসেন রাজশাহী ব্যুরো প্রধান: রাজশাহী নগরীর সাহেববাজারে অবস্থিত আরডিএ মার্কেটের একটি দোকানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে আরডিএ মার্কেটের সামনের অংশে ‘মেসার্স এক নম্বর গদি’ নামের এই মুদি ও মনিহারি দোকানের গুদামে আগুন লাগে। খবর পেয়ে একে একে ফায়ার সার্ভিসের মোট দশটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
প্রায় ঘণ্টা খানেকের চেষ্টায় আরডিএ মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। তবে এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, রান্নাঘরের চুলা থেকে আগুন লাগে।
রাজশাহী মহানগরীর আরডিএ মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের খবর শুনে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন।
রাতে আরডিএ মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন রাসিক মেয়র।
এ সময় রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক ওহিদুল ইসলাম জানান, রাত ৭ টা ৩৫ মিনিটে মার্কেট থেকে জানানো হয় আরডিএ মার্কেটে আগুন লেগেছে। খবর পাওয়ার পরপরই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। মার্কেটের ১নং গদির দোতলায় থাকা রান্নাঘরের চুলা থেকে আগুন লাগে। আগুনে দোতলায় থাকা মুদিদোকানের গুদামে রাখা মালামাল পুড়ে গেছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
তিনি আরো বলেন, এর আগে আরডিএ মার্কেটটি অগ্নিনির্বাপণের জন্য খুবই ঝুঁকিপুর্ণ উল্লেখ করে ফায়ার সার্ভিস থেকে বেশ কয়েকবার নোটিশ দেওয়া হলেও কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
ওহিদুল ইসলাম জানান, ভয়াবহ আগুন লাগলেও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের চেষ্টায় আগুন ছড়াতে পারেনি। প্রায় ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিটের অধীনে ৮০জন ফায়ার ফাইটার ও ১০জন কর্মকর্তা কাজ করেছেন।
এসময় দমকল বাহিনীকে সহযোগিতা করেন পুলিশ, র্যাব ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা পাশপাশি অক্লান্ত পরিশ্রম করেন রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকদল এবং সাধারণ মানুষ ।
উল্লেখ্য, আগুন ছড়িয়ে গেলে মার্কেটের সবাই আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন। বলা হয়ে থাকে, রাজশাহীর সবচেয়ে বড় মার্কেট এটি। প্রায় তিন হাজারের বেশি দোকান আছে এই মার্কেটে। এর আগে আরডিএ মার্কেটটি অগ্নিনির্বাপণের জন্য খুবই ঝুঁকিপুর্ণ উল্লেখ করে ফায়ার সার্ভিস থেকে বেশ কয়েকবার নোটিশ দেওয়া হলেও কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নেয়নি।