কে এম নাছির উদ্দিন সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টারঃ
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে দলীয় কোন্দলের জের ধরে যুবদল নেতা কোপালেন গুরুতর আহত করেছে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব খন্দকার মাসুদ রানা
বিএনপির অঙ্গসংগঠন পৌর যুবদলের আহ্বায়ক ও বিএনপি মনোনীত মেয়র
প্রার্থী মাহমুদুল হাসান সজল ও তার সমর্থকেরা এই ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার অনুমানুক ১২ টার সময় শাহজাদপুর উপজেলার পৌর সদরের সিরাজ ম্যানসনের সামনের রাস্তায় পৌর যুবদলের আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান সজল ও তার অনুসারীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা খন্দকার মাসুদ রানার উপর। এসময় অস্ত্রধারীরা এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মাসুদ রানাকে রাস্তায় ফেলে দ্রুত পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা মাসুদ রানাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় পিপিডি হাসপাতালে নিয়ে যায়।পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
শাহজাদপুর উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব ইকবাল হোসেন হিরু বলেন, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে প্রায় চার মাস আগে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব খন্দকার মাসুদ রানা ও পৌর যুবদলের আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান সজলের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নিয়ে জেলা ও উপজেলা বিএনপির নেতারা বৈঠক করে উভয়ের মধ্যে মীমাংসা করে দেন।
শনিবার হঠাৎ করে মাহমুদুল হাসান সজল তাঁর লোকজনসহ লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে মাসুদ রানার ওপর হামলা করেন। তাঁকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে যান। পরে অবস্থা গুরুতর হলে তাঁকে ঢাকায় পাঠানো হয়। বিষয়টি নিয়ে জেলা বিএনপির নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জেলা যুবদলের সভাপতি মির্জা আব্দুল জব্বার বাবু বলেন, শাহজাদপুর পৌর যুবদলের আহ্বায়ক যে ঘটনা ঘটিয়েছেন, তা ন্যক্কারজনক। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জেলা যুবদল থেকে মাহমুদুল হাসান সজল বহিষ্কার করা হয়েছে ।
শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদ মাহমুদ খান বলেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব খন্দকার মাসুদ রানার ওপর হামলার ঘটনায় তাঁর পরিবারের সদস্যরা থানায় এসেছিলেন। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।