হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
হবিগঞ্জে সিএনজি অটোরিকশা থেকে লাফ দিয়ে পড়ে গিয়ে প্রাঃ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকার হয় মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য তৈরি হয়েছে। সহকারী স্কুল শিক্ষিকা সুপ্তা রাণী দাশের এই মৃত্যুকে কেউ বলছে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু আবার কেউ বলছে ইজ্জত বাঁচাতে সিএনজি থেকে লাফ দিয়ে মৃত্যু হয়েছে। তবে পুলিশ বলছে, ওই শিক্ষিকা ভুল বুঝে আতঙ্কে লাফ দিয়ে থাকতে পারেন।
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) সকালে এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহত সুপ্তা হবিগঞ্জ সদর উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের মাহমুদপুর গ্রামের পবিত্র দাশের মেয়ে। তিনি শায়েস্তাগঞ্জ নিশাপট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজা আক্তার শিমুল জানান, স্কুলের সামনের বাজারে সিএনজি অটোরিকশা চালক ওই স্কুল শিক্ষিকাকে নামিয়ে দিতে চেয়েছিলেন বলে চালক জানান। এ সময় হঠাৎ করে স্কুল শিক্ষিকা সুপ্তা রানী দাস লাফ দিয়ে চলন্ত গাড়ী থেকে নেমে যান। এতেই দুর্ঘটনা ঘটে।
তিনি আরও জানান, সিএনজি অটোরিক্সাটির চালক কানে কম শুনতে পান। ধারণা করা হচ্ছে ওই শিক্ষিকা হয়তো স্কুলের সামনে নামতে চেয়েছিলেন কিন্তু চালক বিষয়টি শুনতে পাননি। স্কুল থেকে এগিয়ে বাজারের দিকে যাওয়ার সময় আতঙ্কিত হয়ে পড়তে পারেন শিক্ষিকা সুপ্তা। তিনি জানান, চালকের কোন রকমের খারাপ উদ্দেশ্য থাকার কথা নয় কারণ গাড়িটিতে এসময় আরো যাত্রী ছিলেন।
স্থানীয়রা জানায়, প্রতিদিনের ন্যায় সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে স্কুলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন তিনি ধুলিয়াখাল পয়েন্ট থেকে সিএনজি দিয়ে শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের কাছে দেওন্দি স্টেন্ডে যান তিনি। তার পর সেখান থেকে সিএনজি দিয়ে রওনা দেন স্কুলের যাওয়ার জন্য সিএনজির সব যাত্রী নেমে গেলে তিনি একা হয়ে পড়েন। স্কুল ক্রস করে এগিয়ে যেতে থাকলে সিএনজি থেকে লাফ দিয়ে আহত হন সুপ্তা রানী।
আহত সুপ্তা রানী দাশ কে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে আসলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) বিকেলে মারা যান তিনি।
এ বিষয়ে নিশাপট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা জোসনা বেগম জানান, স্কুলে ক্লাস চলাকালীন সময়ে স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারি সড়ক দুর্ঘটনার সুপ্তা রানীকে আহত অবস্থায় হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আমরা গিয়ে দেখতে পাই আমাদের সহকর্মী সুপ্তা রানী দাশ অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট হাসপাতালে প্রেরণ করা হলে বিকালে মারা যান তিনি।