হবিগঞ্জের ২৪ টি চা বাগানের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ৩শ টাকা করার দাবিতে ফুঁসে উঠছেন শ্রমিকরা। তাদের আন্দোলন দিন দিন বেগবান হয়ে উঠছে।
আন্দোলনের অংশ হিসেবে শনিবার (১৩ আগস্ট) সকাল থেকে পুরোদিন কর্মবিরতিসহ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে চা শ্রমিকরা। এর আগে মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আলটিমেটামের ৭ দিনের সময়সীমা শেষ হয়ে গেলেও দাবি পূরণ না হওয়ায় চা শ্রমিকরা আন্দোলন শুরু করে
গত মঙ্গলবার থেকে শুকবার প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছিল উপজেলার লস্কর পুর,দেউন্দী,রঘুনন্দন,লালচাঁন, চাঁদপুর , নালুয়া, আমু, চা বাগানের শ্রমিকরা।
এসময় শ্রমিকরা জানান, গত ৩০ জুলাই মালিক পক্ষ নূন্যতম মজুরি ১শ ২০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ১শ ৩৪ টাকা করার প্রস্তাব দেন। চা শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্বকারী একমাত্র সংঘটন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে।
ক্রমবর্ধমান দ্রব্যমূল্য উর্দ্ধগতিতে এ মজুরি দিয়ে শ্রমিক পরিবার চলা খুবই কষ্টকর। তাই নূন্যতম মজুরি ৩শ টাকা করার দাবিতে এ কর্মবিরতি পালন করে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করা হয়।
চা শ্রমিক নেতারা বলেন, দাবি মানা না হলে চা শ্রমিকদের দাবি আদায়ে আজ থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করাহবে
আন্দোলন কারি চা শ্রমিক নেতারা জানান আমাদের ৩০০ টাকা মজুরি দাবিতে সংগ্রাম চলছে আন্দোলন কঠিন থেকে কঠিন হবে প্রয়োজনে রাজপথে যাবো গুলি খাবো আমাদের ন্যায্য অধিকার আদায় করে ছাড়বো ।
এদিকে চা শ্রমিকদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন চুনারুঘাট উপজেলার ৫ নং শানখলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব আলহাজ্ব ফজলুর রহমান তরফদার সবুজ । তিনি বেশ কয়েকটি চা বাগান ঘুরে পরিদর্শন করেছেন এবং শ্রমিকদের দুঃখের কথা শুনেছেন এবং শ্রমিকদের আশ্বস্ত করেছেন যে তিনি এদের পাশে থাকবেন ।