সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৩:৩১ অপরাহ্ন
ঘোষনা
ফরিদপুরে মাদক কারবারির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত ত্রিশাল থানা পুলিশের সহযোগিতায় আব্দুল্লাহ (৭) ফিরে পেল তার পরিবারকে তীব্র তাপপ্রবাহে মহাসড়কের বেহালদশা: ঘটতে পারে প্রাণঘাতী দূর্ঘটনা প্রচারণায় এগিয়ে রায়গঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী লিটন খান সাতক্ষীরায় নিরাপদ আম বাজারজাতকরণ শীর্ষক মতবিনিময় ধামইরহাটে নির্বাচনের মাঠে এগিয়ে আছেন আজহার আলী মন্ডল রূপনগর বেড়িবাঁধে ২টি সিসা তৈরির কারখানা চলছে হুমকির মুখে প্রাকৃতিক পরিবেশ জীব ও বৈচিত্র শাহজাদপুরে বারো লক্ষ টাকার বিনিময়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ; ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ আব্দুর রশিদ বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে সাংবাদিকতা কতটুকু স্বাধীন উপজেলা নির্বাচন হবে প্রভাবমুক্ত- প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান

গাজীপুরের শ্রীপুরে বিচারের দাবিতে ছেলের লাশ নিয়ে থানায় বাবা

আলমগীর হোসেন সাগর
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ১১৬ বার পঠিত

গাজীপুরের শ্রীপুরে এক যুবককে চুরির অপবাদ দিয়ে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে ছেলেকে বাঁচাতে না পেরে অ্যাম্বুলেন্সে করে মরদেহ নিয়ে থানায় হাজির হয়েছেন এক বাবা।

 

গতকাল শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ভোর রাতে থেকে রানা মিয়াকে আটক করে চোরের অপবাদ দিয়ে মারধর কতেথাকে। পরে স্বজনরা স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তার মৃত্যৃ হয়।

 

নিহত যুবক রানা মিয়া (৩০) উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ গ্রামের মো. আমিনুল ইসলামের ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি কারখানায় চাকরি করতেন।

 

অভিযুক্তরা হলেন- স্থানীয় ভাঙারি ব্যবসায়ী কেওয়া পশ্চিমখন্ড গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে মো. শিপন মিয়া (২৫), আকাশ মিয়া (২২), উজ্বল মিয়া (২৫) ও আবুল কাশেমের ছেলে ইমন (২৬)।

 

নিহত, অভিযুক্তদের স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অভিযুক্ত শিপন ভাঙারি ব্যবসা করেন। বিভিন্ন এলাকা থেকে ভাঙারি সংগ্রহ করতে ব্যবহার করা হতো ১৫টি ভ্যানগাড়ি। সম্প্রতি বিভিন্ন সময় শিপনের পাঁচটি ভ্যানগাড়ি চুরি হয়। শনিবার ভোররাত ৩টার দিকে ভ্যানগাড়ি চুরির অভিযোগ এনে রানাকে আটকে রাখে শিপন। পরে রাত থেকে দিনভর মারধর ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। মারধরে তিনটি ভ্যানগাড়ি চুরির কথা স্বীকার করে রানা। পরে স্থানীয়রা রানাকে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন। স্থানীয়দের অনুরোধ উপেক্ষা করে সবার সামনেই মারধর করেন অভিযুক্তরা। পরে তার কাছ থেকে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রেখে ছেড়ে দেওয়া হয়।

 

নিহতের বাবা আমিনুল ইসলাম জানান, তাদের হাত থেকে ছেলেকে উদ্ধার করে প্রথমে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দেন। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

 

তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমি বার বার আকুতি-মিনতি করলেও আমার ছেলেকে তারা ছাড়লো না। আমি তাদের পায়ে পর্যন্ত ধরেছি। তবুও তারা আমার কথা শুনিনি। সবশেষ আমার ছেলেকে মেরেই ফেলল। আমার ছেলেকে তুলে নিয়ে দফায় দফায় নির্যাতন করে বুকের পাজর, দুই হাত ও পা ভেঙে দেয়। আমার ছেলের শরীরের এক ইঞ্চি পরিমাণ জায়গা নেই যেখানে আঘাত করেনি। আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। আমি হত্যাকারীদের বিচার চাই। বিচার চাইতে হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্সে লাশ নিয়ে সরাসরি থানায় এসেছি।

 

ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী শিপনের বাড়িতে গেলেও তাকে পাওয়া যায়নি। এ সময় তার মা রোকেয়া আক্তার বলেন, শিপন ব্যবসায়িক কাজে এলাকার বাইরে রয়েছে।

 

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে একটি হত্যা মামলা রয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে কাজ করছে পুলিশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর..
এই পত্রিকার সকল সংবাদ, ছবি ও ভিডিও স্বত্ত্ব সংরক্ষিত © ২০২১ দৈনিক মাতৃজগত    
কারিগরি সহযোগিতায়ঃ Bangla Webs
banglawebs999991