রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৩৪ পূর্বাহ্ন

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২’তম জন্মবার্ষীকিতে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, খাঁন সেলিম রহমান।

শেখ মোঃ হুমায়ূন কবির
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৬ মার্চ, ২০২২
  • ১৭৯ বার পঠিত

সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২’তম জন্মবার্ষিকী ও শিশু দিবসে, শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। জাতীয় দৈনিক মাতৃজগত পত্রিকার সম্পাদক, মাতৃজগত টিভির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, দৈনিক বাংলাদেশ ক্রাইম সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক, ঢাকা মিরপুর প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, বাংলাদেশ জাতির পিতা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ জাতির পিতা পরিষদ ঢাকা মহানগর উত্তর এর সভাপতি, মানবতার ফেরিওয়ালা, খাঁন সেলিম রহমান।

বঙ্গবন্ধুর ১০২’তম জন্মবার্ষিকী ও শিশু দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে খাঁন সেলিম রহমান বলেন।

১৯২০ সালের ১৭ মার্চ তদানীন্তন ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়ায় শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম। তাঁর বাবা শেখ লুত্ফর রহমান এবং মাতা সায়েরা খাতুন। চার বোন, দুই ভাইয়ের মধ্যে তিনি তৃতীয়। বাঙালির বহু বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খল ভাঙার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর সুদূরপ্রসারী বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বিশ্বের বুকে জন্ম নিয়েছিল বাংলাদেশ নামের নতুন একটি জাতিরাষ্ট্র।
আজ ১৭/০৩/২০২২ইং
০৩’ই চৈত্র ১৪২৮ বাংলা
১৩’ই শা’বান ১৪৩৩ হিজরি বৃহস্পতিবার, সেই মহানায়কের ১০২’তম বার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস।

খাঁন সেলিম রহমান, আরও বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান টুঙ্গিপাড়ার চিরায়ত গ্রামীণসমাজের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, আবেগ-অনুভূতি শিশুকাল থেকে গভীরভাবে প্রত্যক্ষ করেছেন। গ্রামের মাঁটি আর মানুষ তাঁকে প্রবলভাবে আকর্ষণ করত। শৈশব থেকে তৎকালীন সমাজ জীবনে তিনি জমিদার, তালুকদার ও মহাজনদের অত্যাচার, শোষণ ও প্রজাপীড়ন দেখে চরমভাবে ব্যথিত হতেন। গ্রামের হিন্দু, মুসলমানদের সম্মিলিত সম্প্রীতির সামাজিক আবহে তিনি দীক্ষা পান অসাম্প্রদায়িক চেতনার। কিশোর বয়সেই তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন। গোপালগঞ্জের মিশন স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নকালে তৎকালীন ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যোগদানের কারণে শেখ মুজিবুর রহমান প্রথমবারের মতো গ্রেপ্তার হয়ে কারাবরণ করেন। এরপর থেকে শুরু হয় বঙ্গবন্ধুর আজীবন সংগ্রামী জীবনের অভিযাত্রা। তিনি সারাজীবন এ দেশের মাঁটি ও মানুষের অধিকার আদায় এবং কল্যাণের জন্য সংগ্রাম করেছেন। বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য জীবনের ১৪টি বছর পাকিস্তানি কারাগারের অন্ধপ্রকোষ্ঠে বন্দি থেকেছেন, দুইবার ফাঁসির মঞ্চে মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছেন। কিন্তু আত্মমর্যাদা ও বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের প্রশ্নে কখনো মাথানত করেননি, পরাজয় মানেননি। ১৯৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬-এর ছয়দফা আন্দোলন, ৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান পেরিয়ে ৭০ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন। বঙ্গবন্ধুর সাহসী, দৃঢ়চেতা, আপসহীন নেতৃত্ব ও বীরত্বপূর্ণ সংগ্রামে অনুপ্রাণিত হয়ে জেগে ওঠে শত বছরের নির্যাতিত-নিপীড়িত পরাধীন বাঙালি জাতি। মুক্তির অদম্য স্পৃহায় উদ্বুদ্ধ করে তিনি বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার চূড়ান্ত সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ করে তোলেন।

খাঁন সেলিম রহমান আরও বলেন, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের পর দেশজুড়ে শুরু হয় সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে ৯ মাসব্যাপী রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে ৩০ লাখ শহীদের আত্মদান ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বিশ্ব মানচিত্রে অভ্যুদ্বয় ঘটে, বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্রের।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাত্রিতে বিশ্বাসঘাতকদের নির্মম বুলেটে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব শিশু শেখ রাসেল সহ, সেদিন সপরিবারে নিহত হন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর..
এই পত্রিকার সকল সংবাদ, ছবি ও ভিডিও স্বত্ত্ব সংরক্ষিত © ২০২১ দৈনিক মাতৃজগত    
কারিগরি সহযোগিতায়ঃ Bangla Webs
banglawebs999991