শেখ মোঃ হুমায়ুন কবির, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার:
নতুন বছরের নতুন যাত্রা শুরু হোক সুখ ও সমৃদ্ধিতে। নতুন বছরের নতুন দিনগুলো হোক আনন্দে ভরা।
নিউ ইয়ার সেলিব্রেশনের প্রথম রেকর্ড পাওয়া যায় খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ সহস্রাব্দের কাছাকাছি সময়ে তৎকালীন ব্যাবিলনে। সে উৎসব ব্যাবলিনীয়রা পালন করত বসন্তে, মার্চের শেষভাগে যখন বিষুব অঞ্চলে দিন ও রাত সমান দৈর্ঘ্যে উপনীত হতো। দিনটি তারা স্মরণীয় করে রাখতো ‘আকিতু’ নামে জাঁকজমকপূর্ণ এক ধর্মীয় উৎসব আয়োজনের মাধ্যমে। ব্যাবিলনীয়নদের পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী, আকাশের দেবতা মারদুক এক ভীষণ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে সমুদ্রের পিশাচিনী তিয়ামাতকে পরাজিত করেন। ব্যাবিলনীয়দের আকিতু উৎসব ছিল সে বিজয়গাথাকে স্মরণ করার উৎসব, এটিকেই তারা নববর্ষ হিসেবে পালন করত।
ইংরেজি নববর্ষ ২০২৪ সালের নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
জাতীয় দৈনিক মাতৃজগত পত্রিকা’র সম্পাদক, বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেসক্লাব (বি,সি,পি,সি) কেন্দ্রীয় কমিটি’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, বাংলাদেশ ক্রাইম সাংবাদিক সংগঠন কেন্দ্রীয় কমিটি’র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, খান সেলিম রহমান।
ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন।
উৎসবটির রাজনৈতিক তাৎপর্যও কম ছিল না। এদিন নতুন ব্যাবিলনিয় রাজাকে মুকুট পরিয়ে দেয়া হতো, অথবা পুরাতন রাজার শাসন দন্ডকে প্রতীকিভাবে নবায়ন করা হতো।
বছর গণনা সম্পর্কে এখানে একটি তথ্য তুলে ধরা প্রয়োজন। রোমান ক্যালেন্ডারকে সূর্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ করতে জুলিয়াস সিজার তাতে অতিরিক্ত ৯০টি দিন যোগ করেছিলেন। এভাবেই জুলিয়ান ক্যালেন্ডারের উদ্ভব হয়। এরকমই প্রাচীন সভ্যতার ইতিহাসে বিভিন্ন সভ্যতার বিভিন্নভাবে দিনপঞ্জি প্রণয়নের নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে। তবে সব সভ্যতায় একটি ব্যাপারে মিল ছিলো, বছরের প্রথম দিন কিংবা মাস নির্ধারণ করা হতো নবান্নের বা নতুন ফসল তোলার দিন তারিখের সঙ্গে মিল রেখে। ব্যতিক্রমও যে ছিল না তেমন কিন্তু নয়। প্রাচীন মিশরে বছরে সর্বশেষ বার নীলনদের বান ডাকলে পরে আয়োজন করা হতো নববর্ষের, কাকতালীয়ভাবে ঐ সময়টি ছিল লুব্ধক নক্ষত্রের উদয়কাল। চৈনিকরা শীতকাল শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয় পূর্ণ চন্দ্রের দিনে নববর্ষ পালন করত।
অধিকাংশ দেশেই ৩১’শে ডিসেম্বর সন্ধ্যা অর্থাৎ নিউ ইয়ার’স ইভ থেকে শুরু করে বছরের প্রথম দিন অর্থাৎ পয়লা জানুয়ারি পর্যন্ত নিউ ইয়ার উদযাপনের রেওয়াজ রয়েছে। পশ্চিমা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এদিন সবাই ভোজন উৎসবে মেতে ওঠে, এটিকে সদ্য আগত বছরের সৌভাগ্যকে বরণ করে নেয়ার রীতি হিসেবে দেখা হয়। কিছু কিছু সংস্কৃতির মানুষজন শুকরকে উন্নতি ও অগ্রগতির প্রতীক হিসেবে মনে করেন। এজন্যই নতুন বছরের প্রথম দিনে কিউবা, অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি, পর্তুগালসহ আরো বেশ কিছু দেশে নতুন বছরের প্রথম দিনে শুকরের মাংস পরিবেশন করা হয়। এক বছরের চক্র পূরণ করা নেদারল্যান্ড , মেক্সিকো ও গ্রিসে পরিবেশন করা হয় বিশেষভাবে বানানো রিং আকৃতির কেক। সুইডেন ও নরওয়েতে পরিবেশন করা হয় রাইস পুডিং, যার ভেতরে একটি কাঠ বাদাম গুঁজে দেয়া হয়। তারা ধারণা করে থাকে পুডিংটি খেতে গিয়ে যে ব্যক্তি বাদামটি খুঁজে পাবে তার নতুন বছর সবচেয়ে ভালো কাটবে।
খান সেলিম রহমান আরো বলেন, এভাবেই নানা উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সারা বিশ্বব্যাপী সবাই জাঁকজমক ও চাকচিক্যের সাথে পালন করে নতুন বছরের প্রথম দিনটি। নতুন বছরের নতুন চ্যালেঞ্জগুলোকে মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত হই। নতুন বছর আমাদের সকলের জন্য সুখ, সমৃদ্ধি ও বয়ে আনুক সফলতা।
সবাইকে জানাই ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা ও Happy New Year 2024