রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫৪ অপরাহ্ন

ছোট বাচ্চা কুকুর আঁচড়ে রেবিস হওয়ার পর,ডাক্তারা ৪৮ ঘন্টা সময় কথা বলেন; তার আগেই মৃত্যু

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১২ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ২০৫ বার পঠিত

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: ছবিতে যাকে দেখছেন তিনি আগ্রাবাদ সিডিএ বায়তুল আমিন জামে মসজিদের দীর্ঘদিনের খতিব এবং ইমাম।ছোট একটা বাচ্চা কুকুর আঁচড় দিয়েছিলো।আঁচড় টা নরমাল ছিলো তাই তিনি এতোটা পাত্তা দেয় নাই বিষয় টা। রেবিস হওয়ার পর ডাক্তারা ৪৮ ঘন্টা সময় দিয়েছিলো কিন্তু তিনি তার আগেই মারা গেছেন।তার মৃত্যু আমি সরাসরি দেখেছি কি ভয়ানক মৃত্যু।রেবিস রোগী মৃত্যুর আগে পাগলের মত আচরণ করে তখন ডাক্তাররা বুজে যায়।।সে দিন এই ইমাম সাহেব যখন শেষ পর্যায়ে তখন দেখলাম নার্স রা রুম থেকে সবাইকে বের করে দিয়েছে,আর রুম কে তালা মেরে দিয়েছে,কারন শেষ মুহূর্তে তারা পাগল হয়ে যায় সামনে যাকে পাবে তাকে কামড় বা আঁচড় দিবে,এই রোগী যাকে কামড় দিবে তারও মৃত্যু ১০০০% নিশ্চিত হয়ে যাবে।

দরজা তালা মেরে দেওয়ার পর বাঁচার জন্য কি করলো,কত চাইলো রুম থেকে বের হতে,রুমের ভিতর দৌড়া,দৌড়ি করতে লাগলো আর শুধু ধাক্কা খাচ্ছিলো দেওয়াল আর চৌকির সাথে,এটা দেখে তাদের আত্নীয়রা নার্সদের থেকে অনুমতি চাইলো দরজা খুলে তাকে একটু ধরে রাখবে যাথে ধাক্কা না খাই।কিন্তু নার্সরা অনুমতি দিলো না,তারা বললো তিনি আর ১০/১৫ মিনিটের মধ্যে মারা যাবে অপেক্ষা করুন,ওনার জন্য তো আমরা আপনাদের মৃত্যুর মুখে ফেলে দিতে পারি না।

একটা দেশি মুরগী জবাই দেওয়ার পর মুরগী যেভাবে চটপট চটপট করে মৃত্যু হয় জলাতঙ্ক রোগীর মৃত্যু একদম সেম ভাবে হয়।

১৪০০শ বছর আগে আমাদের প্রিয় নবী বলে গিয়েছেন কুকুর নাপাক প্রানী।।১৪০০ বছর পর মেডিকেল সায়েন্স বলছে জলাতঙ্ক ভেকসিন করা নাই ঐ ধরনের কুকুরকে আপনি হাত দিয়ে স্পর্শ করলে আপনারও হয়ে যেথে পারে জলাতঙ্ক, কুকুর স্পর্শ করে আমরা যদি আমাদের শরীর চুলকায় বা আমাকের শরীরের কোন ক্ষত স্থানে সে হাত লেগে যায় তাহলেও রিক্স থাকে জলাতঙ্কের,রেবিস ভাইরাস রক্তের মাধ্যম আমাদের শরীরে প্রবেশ করে না,রেবিস ভাইরাস আমাদের চামড়ার নিচে যে সাদা একটা চর্বির আস্তর থাকে সেই চর্বি থেকে মাথায় চলে যায়,প্রথমে আমাদের ব্রেন আক্রমন করে ব্রেন ইনজুরি করে দেয়,পরে আস্তে আস্তে আমাদের গলাতে নামতে শুরু করে,আমাদের গলার যে নার্ভ থাকে সে নার্ভকে ধ্বংস করে দেয়,গলার নার্ভের মাধ্যমে আমরা পানি খেয়ে থাকি বা অন্যন্য খাবার খেয়ে থাকি।

নার্ভ যখন পুরাপুরি বিকল হয়ে যায় তখন এই রোগী গলা দিয়ে কোন পানি বা খাবার খেতে পারবে না,গলাতে কিছু গেলেই তার শ্বাস বন্ধ হয়ে যাবে কারন যেই নার্ভ খাবার গিলতে সাহায্য করে তা আর কাজ করছে না,তাই সে পানির পিপাসায় একটা সময় মারা যায়।

তারা পানি দেখলেই ভয় পাই কারন পানি গলায় গেলে সে আর শ্বাস নিতে পারে না, যদি আপনি জলাতঙ্ক ভেকসিন না নিয়ে থাকেন।আমাদের একটা ভুল ধারনা আছে,আমরা মনে করি কুকুর কামড়ালে বা আছড় দিলে রেবিস ভেকসিন দিতে হয়,মেডিকেল সায়েন্স বলছে,কুকুরের লালা তে সবচেয়ে বেশি জলাতঙ্ক ভাইরাস রেবিস থাকে,কুকুর তার জিহবা দিয়ে তার শরীল চাটে,এই চাটার কারনে কুকুরের পুরা শরীলে রেবিস জীবানু থাকার রিক্স থাকে মনে রাখবেন যদি দেখেন কুকুরের শরীল পানি ধারা ভেজা সে ভেজা কুরুর আপনার হাত স্পর্শ হয় বা পায়ে স্পর্শ হয় তাহলে সাথে সাথে এই স্থান কাপড় কাঁচা সাবান নিয়ে ১৫ মিনিট ওয়াশ করবেন।।তাই সকলে কুকুর থেকে সাবধানে থাকবেন।কুকুর আপনার শরীল স্পর্শ করলে সাথে সাথে ১৫ মিনিট কাপড়কাচার সাবান দিয়ে পরিষ্কার করবেন।

তারপর বেরিস ভেকসিন দিয়ে দিবেন,আর রেবিস ভেকসিন কখনো সরকারি মেডিকেল ছাড়া অন্য যায়গায় দিবেন না,যে কোন টিকা সরকারি মেডিকেল ছাড়া অন্য যায়গায় দিবেন না,আমরা অনেকে ফার্মেসিতে ভেকসিন বা টিকা দিয়ে থাকি এটা উচিত না,একজন ফার্মেসির কাজ ঔষধ বিক্রি করা টিকা দেওয়া না,ভেকসিন দেওয়ার নিয়মই তারা জানে না,,রেভিস ভেকসিন নিদিষ্ট তাপমাত্রায় রাখা লাগে না হয় সেই ভেকসিন কাজ করবে না ,।মেডিকেল সায়েন্স বলছে ৯৯ % জলাতঙ্ক রোগ ছড়ায় কুকুর।বিড়ালেরও জলাতঙ্ক হয় যদি সেই বিড়াল কুকুরের কামড় খায় বা কুকুর যে যায়গায় খাবার খাই একই যায়গায় বিড়াল মুখ দেয় তাহলে সে বিড়ালও জলাতঙ্কে আক্রান্ত হয়।তাই বিড়ালের কামড় বা বিড়ালের আচড় বা বিড়াল আপনার পা চেটে দিয়েছে তাহলেও আপনাকে ভেকসিন দিতে হবে।একবার আপনার শরীলে রেবিস ভাইরাস ঢুকে গেলে নিশ্চিত মৃত্যু, কারন জলাতঙ্ক রোগের কোন চিকিৎসা নাই।আল্লাহ সবাইকে সুস্থ রাখুক। জলাতঙ্ক রোগীর মৃত্যু হয় অনেক কষ্টদায়ক ভাবে।২/৩ টা জলাতঙ্ক রোগীর মৃত্যু নিজ চোখে দেখার পর আমি শপথ নিয়েছি এই বিষয়ে আমি সবাইকে সতর্ক করবো।

সবাই একটু সতর্ক হয়।রেবিস ভেকসিন সকল টপিক্যাল সরকারি হাসপাতালে সম্পূর্ণ ফ্রিতে দেওয়া হয়।

কেউ যদি কখনো কুকুরের আক্রমণে আক্রান্ত হন ২৪ ঘন্টার মধ্যে ভেকসিন দিতেই হবে।

এই করুণ মৃত্যু আর কোন ব্যক্তির হোক।কুকুরের আক্রমণের ২৪ ঘন্টার মধ্যে ভেকসিন দিতেই হবে।আপনারা ইউটিউবে জলাতঙ্ক রোগী দিয়ে সার্চ দিয়ে দেখতে পারেন এই রোগ কতটা ভয়াবহ।আমরা রাস্তার কুকুরকে পাত্তাই না দিই সবাই দয়া করে একটু সচেতন হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর..
এই পত্রিকার সকল সংবাদ, ছবি ও ভিডিও স্বত্ত্ব সংরক্ষিত © ২০২১ দৈনিক মাতৃজগত    
কারিগরি সহযোগিতায়ঃ Bangla Webs
banglawebs999991