বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ০৯:৫২ অপরাহ্ন

পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও নতুন কারিকুলামে অসঙ্গতি দূরীকরণের দাবিতে রংপুরে মানববন্ধন

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ৪৫ বার পঠিত

 

মোঃ আফ্ফান হোসাইন আজমীর, রংপুর প্রতিনিধিঃ পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও নতুন কারিকুলামে অসঙ্গতি দূরীকরণের দাবিতে রংপুরে মানববন্ধন সমাবেশ করেছে জাতীয় শিক্ষক ফোরাম জেলা ও মহানগর কমিটি। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে রংপুর প্রেসক্লাব চত্বরে জাতীয় শিক্ষক ফোরামের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে অংশ নেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সাধারণ শিক্ষকরা। এতে অংশ নিয়ে সংহতি জানান ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীরাও।

সমাবেশে জাতীয় শিক্ষক ফোরামের রংপুর জেলা সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল আলীমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রংপুরের মহানগর সভাপতি হাফেজ মাওলানা আব্দুর রহমান কাসেমী, সাধারণ সম্পাদক আমিরুজ্জামান পিয়াল, রংপুর জেলার সভাপতি মাহমুদুর রহমান রিপন, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন রংপুর জেলা সভাপতি একরামুল হক, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন রংপুর মহানগর সভাপতি মামুনুর রশিদ, ইসলামী যুব আন্দোলনের সভাপতি তহমিদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মনোয়ার হোসেন, জাতীয় শিক্ষক ফোরামের রংপুর মহানগরের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুর রহিম, সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন, জেলার সম্পাদক মশিউর রহমান প্রমুখ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে শরীফার গল্পের মাধ্যমে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ট্রান্সজেন্ডারের প্রতি আকৃষ্ট করা হয়েছে। সুকৌশলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মনে ট্রান্সজেন্ডারদের প্রতি প্রেরণা সৃষ্টি করা হচ্ছে। ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া এক নয়, এদের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। হিজড়ারা জন্মগতভাবেই কিছুটা বিকৃত অঙ্গ নিয়ে জন্মায়। এটা সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত। কিন্তু ট্রান্সজেন্ডারদের শারীরিক কোনো ত্রুটি থাকে না, তারা মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত। উদাহরণস্বরূপ একজন ট্রান্সজেন্ডার পুরুষ মনে করে সে একজন নারী। অপরদিকে একজন একজন নারী ট্রান্সজেন্ডার মনে করে সে একজন পুরুষ। এই ট্রান্সজেন্ডাররা বিকৃত যৌনাচারে লিপ্ত হয়। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী এই ট্রান্সজেন্ডারদের বিকৃত যৌনাচার সম্পূর্ণ অবৈধ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

বক্তারা আরও বলেন, বিকৃত যৌন রুচির ও মানসিক বিকারগ্রস্ত ট্রান্সজেন্ডারদের কার্যকলাপ সুকৌশলে পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করে দেশে প্রচার করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এতে করে দেশের আপামর মুসলিম জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত করা হচ্ছে। একই সঙ্গে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকারগ্রস্ত ট্রান্সজেন্ডারদের প্রতি আকৃষ্ট করার চেষ্টা চলছে। অবিলম্বে সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বই থেকে শরীফা ও শরীফার গল্প বাদ দেওয়াসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বইয়ের দোকান থেকে এই পাঠ্যপ্রস্তক প্রত্যাহার করে শিক্ষার্থীদের নতুন সংশোধিত বই সরবরাহ করতে হবে। একই সঙ্গে ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ মাহাতাবকে স্বপদে বহালেরও দাবি তোলেন নেতৃবৃন্দ। অন্যথায় আড়ং, ব্রাক ব্যাংক ও বিকাশে লেনদেন বয়কয়টের হুঁশিয়ারি দেন তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর..
এই পত্রিকার সকল সংবাদ, ছবি ও ভিডিও স্বত্ত্ব সংরক্ষিত © ২০২১ দৈনিক মাতৃজগত    
কারিগরি সহযোগিতায়ঃ Bangla Webs
banglawebs999991