রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০১:০৮ পূর্বাহ্ন

“বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধো পুত্রের পৈতৃক বিটে জবরদখল”

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৩
  • ১১০ বার পঠিত

চিত্রকর রামকৃষ্ণ আচার্য্য
সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার :

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার,বাঞ্ছারামপুর উপজেলায়,রুপসদী ইউনিয়ন এর সম্মানিত কৃতি সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধার পুত্র সাংবাদিক মোঃ আবদুল আওয়াল মহোদয় গণের পূর্বসূত্র থেকেই প্রাপ্য পৈতৃক বসত বিটে ও সেখানে প্রতিষ্ঠিত দোকান ঘরে তালা লাগিয়ে ও জবরদখল করে রেখেছে স্থানীয় কতিপয় উগ্রবাদী প্রভাবশালি ভূমিদস্যুরা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার রূপসদী ইউনিয়নের রূপসদী গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক জহিরুল হকের পৈতৃক ভিটায় একই এলাকার স্থানীয় কিছু কতিপয় উগ্রবাদী প্রভাবশালী দূর্বৃত্তরা জোর পূর্বক জবরদখল করে গত (০২ নভেম্বর) তালা লাগিয়ে দিয়েছে,

এবং এ বিষয়ে জবরদখল ও ঘরে তালা লাগিয়ে দেয়ার অভিযোগটি স্থানীয় সূত্রে তার সত্যতা পাওয়া গেছে।

বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সর্বজন শ্রদ্ধেয় বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার আবদুল আউয়াল। রূপসদী বাজারে তাদের পৈতৃক টিনসেড বিল্ডিং। দীর্ঘদিন যাবত তারা ভোগ দখল করে আসছে।
গত বৃহস্পতিবার আকস্মিকভাবে রূপসদী উত্তর বাজারের, পশ্চিম কান্দাপাড়ার
মরহুম বাচ্চু মিয়ার ছেলে দুলাল মিয়া জোরপূর্বক দোকানের ভাড়াটিয়াকে
রুম থেকে টেনে হিচড়ে বের করে দিয়ে, দোকানের দামি দামি মালপত্র সমস্ত কিছু ফেলে দেয় ও লোটে পোটে ছিনিয়ে নিয়ে নেয় । যাওয়ার সময় ভাড়াটিয়াকে দেখে নেওয়ার হুমকী দেয়।

খবর পেয়ে নিজেদের দোকানে ছুটে আসে মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার আব্দুল আউয়ালের মহোদয়ের ছেলে সাংবাদিক জহিরুল হক।

পরে তিনি বাঞ্ছারামপুর থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন।
সাংবাদিক জহিরুল হক বলেন,
আমি ছোট বেলা থেকে দেখে আসতেছি এই জায়গা আমাদের।

গত বৃহস্পতিবার দুলাল মিয়া দলবল নিয়ে আমার ভাড়াটিয়াকে হুমকী দিয়ে যায়। আমি দুলাল মিয়ার কাছে আরও জায়গা পাব। আর সেই কারণে আমি মামলা করেছি। কিন্তু দুলাল মিয়া জোরপূর্বক তার টাকায় পরিচালিত স্হানীয় কিছু কতিপয় উগ্রবাদী সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ ভূমিদোশ্য কিছু গোন্ডা বাহিনী নিয়ে আমার ভাড়াটিয়াকে মারধর করে ঐ সন্ত্রাসীবাহিনিরা আমার পৈতৃক ভিটা ও দোকানে তালা লাগিয়ে দিয়েছে।

তিনি প্রশানের উদ্দিশে বলেন এই দেশটা কি স্বাধীন করেছে শুধু রাজাকারদের সুখ শান্তির জন্য! আমার বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মমতাময়ী মা এবং আমার এলাকার একমাত্র অভিভাবক মাননীয় এমপি মহোদয় জনাব আলহাজ্ব কেপ্টেন এ.বি তাজুল ইসলাম তাজ মহোদয় সহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সর্বমহলের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মহোদয় গণের প্রতি বিনিত অনুরোধে আমি আমার প্রাপ্য বিচার দাবি কামনা করছি।

ভূমি দস্যুরা আমাকে ও আমার পরিবারকে হত্যার হুমকী দিয়ে যাচ্ছে। আমরা ভূমি দস্যুদের হাত থেকে বাঁচতে চাই।

বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার বিট পুলিশ অফিসার বলেন, আমি অন্য উপজেলায় ইলেকশন ডিউটিতে চলে আসছি। তবে ঘরে তালা লাগিয়ে ভাল করেনি। আমি তাকে বলছি তালা খুলে দিতে। আর জায়গা নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে মামলা ও দ্বন্দ্ব চলছে,তিনি এতটুকু কথা বলে থানার ডিউটি আছে বলে এ বিষয়টিকে সম্পুর্ন পাশ কাটিয়ে উনার কাজে বেস্থ হয়ে পড়েন।

কিন্তু এখন পর্যন্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা তাদের এই পৈসাশিক অবমাননার কোনো সুন্দর সমাধানের সুবিধা বঞ্চিত হয়ে
উনারা বর্তমানে জীবন মৃত্যুর ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে বসবাস করছেন।

বর্তমানে উনারা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি বিনিত অনুরোধে সর্বাধিক সাহায্য ও আইনি সহযোগিতা পাওয়ার জন্য আকুল প্রার্থনা কামনা করছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর..
এই পত্রিকার সকল সংবাদ, ছবি ও ভিডিও স্বত্ত্ব সংরক্ষিত © ২০২১ দৈনিক মাতৃজগত    
কারিগরি সহযোগিতায়ঃ Bangla Webs
banglawebs999991