মোঃ রেজাউল করিম খান ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি: উত্তরাঞ্চলের সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে গত দু দিন থেকে ঘনকুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় জেঁকে বসেছ শীত। পৌষের হাড় কাঁপানো শীতের কামড়ে কাঁপছে উপজেলাবাসী।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) বিকাল পর্যন্তও উপজেলার কোথাও সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। সকাল থেকেই সর্বত্র ঘনকয়াশার চাদরে ঢাকা ছিলো। তাপমাত্রা নেমে আসার পাশাপাশি প্রচন্ড হিমেল হাওয়ায় অচল হয়ে পড়েছে এলাকার সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের জীবনযাত্রা। পৌষের মাঝে এই ঘনকুয়াশা ও হিমেল বাতাসের কারণে উপজেলাতে জেঁকে বসেছে শীত। গরম কাপড় ছাড়া সাধারণত কেউ বাইরে বের হচ্ছেন না। ঘরের মধ্যে শীতে জবুথুবু অবস্থা।সরেজমিনে উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, ঘণকুয়াশা ও উত্তরের হিমেল হাওয়ার কারনে বিভিন্ন এলাকার প্রধান প্রধান সড়ক গুলিতে গণপরিবহ ছিলো কম। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কাউকে বাজারে আসতে দেখা যায়নি।এদিকে শীত জেঁকে বসায় গরম কাপড়ের দোকানে উপছে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ঘন কুয়াশার সাথে হিমেল হাওয়া যুক্ত হয়ে জনজীবন নাকাল করে তুলেছে। দুপুরের আগে এমনি কোন কোন দিনের শেষ অংশেও সূর্যের দেখা মিলছে না। প্রচন্ড ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশার কারনে খেটে খাওয়া মানুষ বিশেষ করে ভ্যান-রিক্সা শ্রমিক ও কৃষক-কৃষানীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কনকনে ঠান্ডায় বৃদ্ধ ও শিশুদের মাঝে ডায়রিয়াসহ ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন ধরনের রোগ দেখা দিচ্ছে।বিশেষ করে এ উপজেলার জনগণ শীতের দাপটে কাবু হয়ে পড়েছে। অনেকেই রান্নার চুলায় অথবা খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করছে।
তাড়াশ কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, শনিবার সকালে জেলায় সর্বনিম্ন আবহাওয়া রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত এক সপ্তাহে এ অঞ্চলে এটি সর্বনিম্ন তাপমাত্র। আরও দুয়েক দিন কুয়াশাচ্ছন্ন থাকতে পারে এবং বয়ে যেতে পারে শৈত্যপ্রবাহ।