মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০২:৪৯ অপরাহ্ন
ঘোষনা
রাজশাহীর পুঠিয়া হতে ৭৫ পিচ ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ ০৫ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার  ভালুকা মডেল থানার পুলিশ অটোরিকশা সহ দুই আসামি গ্ৰেপ্তার রংপুরে হাড়িভাঙ্গা আমে স্বপ্ন বুনছেন চাষিরা রাসিক মেয়রের সাথে রাজশাহী অনলাইন সাংবাদক ফোরামের নেতৃবৃন্দের সৌজন্য সাক্ষাৎ যশোরের কোতয়ালী মডেল থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১০০০ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার ২ দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় বিএনপি থেকে জাহাঙ্গীরকে বহিষ্কার প্রথমবারের মতো স্টিমার সরাসরি ভিড়লো দ্বীপবন্ধু জেটিতে। ফরিদপুরে মাদক কারবারির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত ত্রিশাল থানা পুলিশের সহযোগিতায় আব্দুল্লাহ (৭) ফিরে পেল তার পরিবারকে তীব্র তাপপ্রবাহে মহাসড়কের বেহালদশা: ঘটতে পারে প্রাণঘাতী দূর্ঘটনা

জেলা প্রশাসন ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যেন অন্ধঃ গাইবান্ধা জেনারেল হসপিটাল কর্তৃপক্ষের দুর্নীতির তথ্য সাংবাদিকদের দেয়ার অভিযোগে শিক্ষার্থীদের ইন্টার্নিশিপ বাতিলের হুমকি কর্তৃপক্ষের

রানা ইস্কান্দার রহমান
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১২ জুন, ২০২২
  • ১৫৪ বার পঠিত

গাইবান্ধার জেলা ব্যুরো প্রধানঃ

গাইবান্ধার একমাত্র জেনারেল ( সদর) হাসপাতালে থলের মধ্যে বিড়াল বেরিয়ে আসার ঘটনা ঘটেছে।

গাইবান্ধা জেনারেল ( সদর) হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা: মাহবুব হোসেন, এনেসথেসিয়া বিশেষজ্ঞ ডা: মো: মাহবুব আকন্দ ও উচ্চমান সহকারী জাকির হোসেন এর ইন্টার্নিশিপ প্রতি নিদিষ্ট ফি’ এর চেয়ে অতিরিক্ত অর্থ নেয়ার বিষয়টি সাংবাদিকরা অবহিত হওয়ায় ও তা নিউজ প্রকাশ পাওয়ায় সাংবাদিকদের ” কোন ” শিক্ষার্থী তথ্য দিয়েছে তা হাসপাতালের উক্ত কর্মকর্তার নিকট স্বীকার না করলে ইন্টার্নিরত শিক্ষার্থীদের ইন্টার্নিশীপ বাতিলের হুমকি প্রদান করা হয়েছে। ফলে ইন্টার্নিশিপ বাতিলের শংকায় ভীত হয়ে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। এতে করে স্পষ্ট ভাবে ফুটে উঠেছে হাসপাতালে থলের মধ্যে বিড়াল লুকিয়ে আছে। এরপরও গাইবান্ধা জেলা প্রশাসন যেন নীরব ভূমিকা পালন করছেন।

ঢাকার মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন পরিচালক-অধ্যাপক ডা: মো: আব্দুর রশিদ” কর্তৃক তত্ত্বাবধায়ক বরাবর ” স্বাপকম/চিশিচ/মেশমেক-২/২০০৯/২৮ তারিখ: ১৩ জানুয়ারি ২০১০ এর স্বাক্ষরিত সকল জেনারেল হাসপাতাল ( সদর) হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক বরাবর চিঠি সূত্রে জানা গেছে- মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত বেসরকারি পর্যায়ে মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল ম্যাটস এর স্থাপন নীতিমালায় বিবিধ-১১ (৪) আলোকে বেসরকারি মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল ম্যাটস করা ছাত্রছাত্রীদের ইন্টার্নশিপ ট্রেনিংয়ের জন্য আপনার প্রতিষ্ঠানে কার্যক্রমের ব্যঘাত না ঘটলে স্থায়ীভাবে অনুমতি দিতে চিঠি প্রেরন করেছে। আর এই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে ইন্টার্ণীতে ভর্তিচ্ছুক বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ম্যাটস এর প্রায় শতাধিক ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি বা ক্লাস ফি বাবদ ১০ হাজার টাকা করে ইন্টার্নিশিপ শিক্ষার্থীপ্রতি দাবি করেছে ও আদায় করছে হাসপাতালের উক্ত কর্মকর্তাবৃন্দ। আর এই টাকা নেয়ার বিষয়টি গনমাধ্যমের নিকট স্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইন্টার্নিরত শিক্ষার্থী ও এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক সূত্রে জানা গেছে-টাঙ্গাইল সহ বিভিন্ন জেলায় বেসরকারি ম্যাটস এর শিক্ষার্থীরা টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজে ইন্টার্নিতে ভর্তি হতে নিদিষ্ট কম সংখ্যক ফি দিয়ে ভর্তি হতে পারছে। কিন্তু গাইবান্ধা জেনারেল ( সদর) হাসপাতালে বেসরকারি ম্যাটস এর শিক্ষার্থীদের ভর্তি হতে ১০হাজার টাকা করে দিতে হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে অনেক শিক্ষার্থীর আর্থিক অবস্থা ভাল না হওয়ায় তারা একবারে পুরো টাকা দিতে না পারায় অনেকে আবার ১০ হাজার এর মধ্যে ৫ হাজার, কেউবা ৬থেকে ৭ হাজার টাকা করে দিয়ে ভর্তি হয়েছে। আর এসব শিক্ষার্থীর নিকট ভর্তির বাকি টাকা চেয়ে তাদেরকে একটা তারিখ নির্ধারন করে দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সে সাথে ইন্টার্নিরত শিক্ষার্থীরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্য সাংবাদিকদের কাছে প্রকাশ করায় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদেরকে চাপ প্রয়োগ করে জিজ্ঞেস করছে তোমরা বা আপনারা কারা সাংবাদিকদের কাছে টাকা প্রদানের তথ্য প্রদান করেছ স্বীকার করো। না হলে তোমাদের ইন্টার্নিশিপ বাতিল করব এমন হুমকি প্রদান করছে। এমনকি ১২ই জুন ২২ তারিখ ইন্টার্নিরত শিক্ষার্থীদেরকে সকালে হাসপাতালের আরএমও’র রুমে ডেকে পাঠিয়েছে। এতে করে ইন্টার্নিশিপ বাতিলের শংকায় ভীত হয়ে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। আর এসব শিক্ষার্থীদের ইন্টার্নিশিপ বাতিল হলে অনিশ্চিত হয়ে পড়বে এদের ভবিষ্যৎ এবং টাকা মার যাবার ভয় পাচ্ছে।

ইন্টার্নিশিপ বাতিল না হওয়া, চাপ প্রয়োগ থেকে বিরত এবং পরবর্তীতে আর যেন কোন শিক্ষার্থীকে ভর্তি বাবদ অতিরিক্ত অর্থ গুনতে না হয় সে জন্য শঙ্কিত ও ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা গাইবান্ধা সিভিল সার্জন, জেলা প্রশাসক সহ সরকারের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

অন্যদিকে – এ বিষয়ে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক “অলিউর রহমান” কে একাধিকার বিষয়টি অবহিত করলেও তিনি কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে নীরব ভূমিকা পালন করছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর..
এই পত্রিকার সকল সংবাদ, ছবি ও ভিডিও স্বত্ত্ব সংরক্ষিত © ২০২১ দৈনিক মাতৃজগত    
কারিগরি সহযোগিতায়ঃ Bangla Webs
banglawebs999991