লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে স্তনে স্পর্শ করে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে মোঃ আঃ সাত্তার (৫২) এর বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার রাতে আদিতমারী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার বাবা। এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মিলন বাজার এলাকায় আঃ মালেকের নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত মোঃ আঃ সাত্তার (৫২) ওই এলাকার মৃত ফই মামুদের ছেলে।
জানা গেছে, অভিযুক্ত মোঃ আঃ সাত্তার বিভিন্ন সময় স্কুলে যাওয়ার সময় ছাত্রীকে খারাপ কথা বলে। এমনকি টাকা দেওয়ার জন্যও চেষ্টা করেন। এমতাবস্থায় ছাত্রীর বাবা মোঃ আব্দুল মালেক ভাংড়ীর ব্যবসায়ী ফেরি করে গ্রামে গ্রামে ভাংরি মালামাল ক্রয় করে মা মোছাঃ সোহাগী বেগম ইউনিয়ন পরিষদের অধীনে ৪০ দিনের কর্মসূচীতে কাজ করেন। খালি ঘরে মেয়ে একা থাকলে। যখন তিনি তাকে একা পেয়েছিলেন, তখন তিনি তাকে ঘরে জড়িয়ে ধরেন এবং তার স্তনসহ শরীরের স্পর্শকাতর অংশ স্পর্শ করেন। ছাত্রী চিৎকার করলে অভিযুক্ত বাড়ির চৌকির নিচে লুকিয়ে পড়ে। চিৎকার শুনে মোছাঃ রাহেনা বেগম (৩৫) ঘরে প্রবেশ করলে আসামি ছাত্তার নিচ থেকে বেরিয়ে পালিয়ে যায়।
ছাত্রীর বাবা আব্দুল মালেক বাড়িতে এসে মেয়ের কান্নাকাটি শুনে তাকে ফেলে স্ট্রোক করেন।
শিক্ষার্থীর বাবা জানান, ওই ব্যক্তি তার বাবার সমবয়সী। ভাবতে কেমন লাগে? মেয়েটির সাথে উল্টো কথা বলতেন। টাকা দিতে চেয়েছিলাম. আমি চাই সেই লোকটি আমার মেয়ের সাথে যা করার চেষ্টা করেছে তার জন্য কঠোর শাস্তি হোক। তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য থানায় অভিযোগ করেছি।
সারপুকুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবু সাঈদ (৫৫) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি।
অভিযুক্ত আঃ ছাত্তারের সাথে মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করা যায়নি।
এ ব্যাপারে আদিতমারী থানার
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মোক্তারুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে এবং তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।