হাসান তারেক: চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার পদুয়ায় নয়াপাড়ার সংলগ্ন আরাকান সড়কে ইট বোঝাই ট্রাকের সাথে মোটর সাইকেলে আরোহী নানা- নাতনী নিহত ও গুরুতর আহত হয় মেয়ে।আজ ৪ নভেম্বর বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।নিহতরা হলেন বাইক চালক নানা ইকবাল হোসেন বাবুল(৫৬)।তিনি আমিরাবাদ ইউনিয়নের পুরাতন বিওসি মোড় লালির বড় বাড়ির মৃত মোহাম্মদ হোসাইনের পুত্র। নাতনী আজুয়া আক্তার (৫) সে ছদাহা ইউনিয়নের ফকির হাট এলাকার বিছইন্যা পাড়া সৌদিয়া প্রবাসি তারেকের মেয়ে।যিনি গুরুতর আহত হয়েছেন তার নাম ছামিরা আক্তার (২৪)।সে তারেকের স্ত্রী ও নিহত ইকবাল হোসেনের বাবুলের মেয়ে। আহত অবস্থায় কেরানীহাট আশশেফা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী থেকে জানা যায় —ঘটনার দিন মোটর সাইকেল ৩জন আরোহীই আহত ছামিরা আক্তারের শুশুর বাড়ি থেকে তার বাপের বাড়ি যাচ্ছিল তার পিতার বাইকে করে। কক্সবাজার অভিমূখি একটি ইট বোঝাই ট্রাক ওভারটেক করে যাচ্চিল।এখই সময়ে একটি সিএনজিও ওভার টেক করতে গিয়ে মোটর সাইকেল কে চাপা দেয়। চাপা দেয়াকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার মুহুর্তেই ট্রাকের পিছনের চাকাই পিষ্ট হয়ে দুজন মারা যায় আর একজন মারাত্মক ভাবে আহত হয়।
স্থানীয়রা দ্রুত এসে লোহাগাড়া থানাকে খবর দেয় এবং আহত মেয়েটিকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
খবর পেয়ে লোহাগাড়া থানা,দোহাজারী হাইওয়ে থানা এবং লোহাগাড়া ফায়ার সার্ভিস পৃথক পৃথক টিম ঘটনা স্থলে আসেন। লাশ দুটি উদ্ধারের পর ঘাতক ট্রাক এবং মোটর সাইকেল গাড়ি দুটি দোহাজারী হাইওয়ে থানা হেফাজতে নিয়ে যায়।
লাশের স্বজনেরা লাশের ময়নাতদন্ত করবেনা বললে লাশ দুটিকে তাদের হাতে হস্তান্তর করেন পুলিশ কর্মকর্তা।
দোহাজারী হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মোহাম্মদ ইরফান খান বলেন
দুর্ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই থানা পুলিশের চৌকশ একটি টিম ঘটনাস্থলে দ্রূত পাঠাই বাইক ও ট্রাকটি থানা হেফাজতে নিয়ে আসি এবং লাশের স্বজনেরা ময়নাতদন্ত করবেনা বললেই লাশ দুটিকে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।