শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ০৪:২৩ পূর্বাহ্ন
ঘোষনা
বানিয়াচংয়ে ফ্রি চক্ষু চিকিৎসা ও ছানি অপারেশন ক্যাম্পিং উদ্বোধন পটুয়াখালীর গলাচিপায় গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর অবরুদ্ধ রবীন্দ্র কাছারি বাড়ি আবারও দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত গোদাগাড়ীতে বিএনপি নেতা এস.এম. বাবু মিয়ার স্মরণে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত মামলা ও জিডি করতে আর থানায় যেতে হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কাঁচালং সরকারি কলেজ ছাত্রদলের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত রবীন্দ্র কাছারি বাড়িতে লাঞ্ছনা, ভাঙচুর ও বিক্ষোভ: অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা পবিত্র ঈদ-উল আযহা উপলক্ষে সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, খান সেলিম রহমান পবিত্র ঈদুল আজহায় ত্যাগের মহিমা ছড়িয়ে পড়ুক প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে ঈদ উল আযহা উপলক্ষে ধর্ম প্রাণ মুসলিমদের ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন নির্বাহী সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন বাবু

বৃষ্টিতে সাদা পলিথিন পেছিয়েও শেষ রক্ষা হইনি, পথেই বসতে হল কৃষকের।

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২২
  • ২৫২ বার পঠিত

 

মোঃ ইলিয়াস শেখ বিশেষ প্রতিনিধিঃ-শাহিন আলম,ধার দেনা করে শীতকালীন আগাম সবজি চাষ করেছিলেন।উল্লেখযোগ্য ৩ লক্ষাদিক টাকার মরিচ গাছ সহ সবজি ফলনের চারা রোপণ করেছিল ২ একর জমিতে।তবে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং ভেঙে দিল তার স্বপ্ন,কান্না চোখে মাটিতে বসতে হলো শাহিন মিয়ার গল্পের মত হলেও এটাই বাস্তব।

কলাপাড়া উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং আঘাত না করলেও, তার প্রভাবে কলাপাড়া উপজেলা কেন্দ্রিক তুমুল বৃষ্টি হয়েছিল এই বৃষ্টি ভাসিয়ে নিয়ে গেছে এই অঞ্চলের কৃষকের স্বপ্ন।ভিজে যাওয়া ক্ষেত শুকিয়ে কবে ঘরে তুলতে পারবেন কৃষি, নাকি জমিকে নস্ট হয়ে যাবে তা নিয়ে এখন চিন্তিত উপকূলের কৃষক।

বুধবার সরেজমিনে উপজেলার ধুলাসার, ডালবুগন্জ, নীলগঞ্জ, হাজিপুর, কুয়াকাটা, লতাচাপরি সহ উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে আগাম সবজি চাষীদের মাথায় হাত, সব কৃষি ক্ষেত ভিজে নস্ট হয়ে গেছে । খেতের জমা পানিতে কচুরি ফানার মত ভাসছে সব শীতকালীন সবজি।

এই অঞ্চলের ক্ষতির মধ্যে ও তরুণ উদ্দোক্তা শাহিন আলমের ক্ষতি ছিলো চোখে পড়ার মতন।ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং দুদিন ধরে কার্যত টানা বৃষ্টিতে সব হারিয়ে পথে বসছেন কলাপাড়ার ধুলাসার ইউনিয়নের কৃষক শাহিন আলম । ঘুর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে দুদিন ধরে টানা বৃষ্টিতে পচন ধরেছে হাইব্রিট বোম্বাই মরিচ, আর এতে এই কৃষকের প্রাই ২০ লক্ষ টাকার মরিচ গাছ নস্ট হয়ে যায়। বৃষ্টির আভাস পেয়ে উপরে সাদা পলিথিন পেছিয়েও শেষ রক্ষা হইনি পথেই বসতে হল এই কৃষকের। কলাপাড়ায় ২,শ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস এতে কৃষকের অনেক ক্ষতি হলেও শাহিন আলমের ক্ষতিটা ছিলো চোখে পড়ার মত। শীতের আগ মূহুর্তে এমন অকাল বৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছে আমন ধান ও শীতকালীন সবজি ক্ষেত।

শাহিন আলম বলেন, দুই-এক দিন পরেই বাজারে বিক্রি করব মরিচ এই খুশিতে যেন তর সয়না, কিন্তু অকাল ঝড় এসে শেষ করে দিলো সব লন্ডভন্ড।সব ঋতুই তো আল্লাহর দেয়া। বৃষ্টির মালিকও আল্লাহ। কিন্তু কি আর করার এই হয়তো আমর কপালে ছিলো! আমি ধার দেনা করে ২ একর জমিতে হাইব্রিড বোম্বাই মরিচ চাষ করেছিলাম এখন সব বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে। গত বছর মরিচ চাষে লাভবান হই এই জন্য ই এই বছর বেশ পরিসরে ৪ লক্ষ টাকা খরচ করে বাড়ীর আঙ্গিনা সহ গেরের মধ্যে মরিচ চাষ করি সব শেষ বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে ধারদেনা করে এই চাষ করেছিলাম আমার আর কিছুই রইলো না।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শংকর চন্দ্র বৈদ্য বলেন, সিত্রাং এর প্রভাবে এই কৃষকের ক্ষতিটা সত্যি দুঃখজনক আমরা খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি সব তথ্য ঠিক থাকলে আমরা ওই কৃষককে সরকারি সহায়তা দিবো। এছাড়াও উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের কৃষকের ক্ষতি হয়েছে আমরা খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারি সহায়তা দেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই পত্রিকার সকল সংবাদ, ছবি ও ভিডিও স্বত্ত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ দৈনিক মাতৃজগত    
Developed By Bangla Webs
banglawebs999991