মোঃ শাহ সৈয়দ খাঁন ময়মনসিংহ জেলা ব্যুরো প্রধান: ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহ্ কামাল আকন্দ (পিপিএম বার) জানান, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে জেলা পুলিশ সুপার মাসুম আহম্মেদ ভূঞা (পিপিএম) কঠোর নির্দেশে কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। অভিযানের অংশ হিসেবে কোতোয়ালী মডেল থানার এসআই মোঃ আনোয়ার হোসেন সংগীয় অফিসার ও ফোর্সসহ থানা এলাকায় ৪ নভেম্বর ডিউটি করাকালীন সকাল অনুমান ৮.৫ ঘটিকার সময় কোতোয়ালী থানাধীন পাটগুদাম ব্রীজ এলাকায় ভিকটিম আল আমিন (৩৬), মোঃ বুলবুল (৩০) ও মোঃ রফিক (৩৮)কে উদ্ধার করেন। তাদেরকে অপহরনকারীরা আটক রেখে টাকা আদায় করার জন্য গাড়ীতে বেধে নিয়ে যাওয়ার সময় অপহৃত ভিকটিম মোঃ রফিক পুলিশকে দেখে চিৎকার করলে দায়িত্বরত পুলিশ স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ঘটনার কাজে ব্যবহৃত অপহৃত ভিকটিম আল আমিন এর মাইক্রোবাস সহ আসামী মোঃ মফিজুল ওরফে মফিজ (৩০)কে আটক করতে সক্ষম হয়। তখন আসামীর সহযোগী আরও ৬ জন কৌশলে দৌড়ে ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়। মাইক্রোবাসের ভেতর হতে অপহৃত ভিকটিমদের উদ্ধার করেন এবং মাইক্রোবাসটি হেফাজতে নেন। অপহৃত ভিকটিম, আটকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় অপহরনকারীরা ইং-০৩/১১/২০২৩ তারিখ রাত অনুমান ৯.৩০ ঘটিকার সময় সিরাজগঞ্জ জেলার এনায়েতপুর থানাধীন এনায়েতপুর সাকিনস্থ খাজা ইউনুছ আলী মেডিকেল কলেজ গেইটের সামনে হতে টাঙ্গাইল মির্জাপুর যাওয়ার কথা বলে ভিকটিম মোঃ আল আমিন এর চালিত মাইক্রোবাসটি ৬,০০০/-(ছয়হাজার) টাকায় ভাড়া নেয়। অতঃপর ভিকটিম মোঃ আল আমিন তার হেলপাড় মোঃ বুলবুল সহ রওনা হলে অনুমান ১ কিঃ মিঃ দূরে যাওয়ার পরেই উক্ত ধৃত আসামী সহ পলাতক আসামীরা তাদের সাথে থাকা দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে ভয় দেখিয়ে গাড়ীটি থামিয়ে চালক মোঃ আল আমিন এবং হেলপাড় মোঃ বুলবুল কে হাত, পা, মুখ বেধে পিছনের সিটে নিচে ফেলে রাখে। অতঃপর আসামীরা বাদীর উক্ত গাড়ীটি চালিয়ে রাস্তা থেকে বিভিন্ন যাত্রীদের অপহরণ করে গাড়ীতে উঠিয়ে তাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায় করে রাস্তায় ফেলে দেয়। উক্ত ধৃত আসামী সহ পলাতক আসামীরা একই কায়দায় ইং-০৪/১১/২০২৩ তারিখ রাত অনুমান ৪.০০ ঘটিকার সময় টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী থানাধীন এলেঙ্গা এলাকা হতে ভিকটিম মোঃ রফিক (৩৮) কে অপহরণ করে মাইক্রোবাসে উঠিয়ে টাকা আদায়ের জন্য ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে একই তারিখ সকাল অনুমান ৮.৫ ঘটিকার সময় ময়মনসিংহ কোতোয়ালী থানাধীন পাটগুদাম ব্রীজ মোড়ে পৌঁছিলে আসামীরা তাদের সাথে থাকা অস্ত্রাদি বের করে উক্ত যাত্রী মোঃ রফিককে ভয় দেখিয়ে তার সাথে থাকা নগদ ৩৫,০০০/-টাকা এবং একটি মোবাইল ফোন নিয়ে নেয় আরও ৫০,০০০/-টাকা দাবী করা অবস্থায় ভিকটিম রফিক পুলিশকে দেখে চিৎকার করলে পাটগুদামে থাকা দায়িত্বরত পুলিশ গাড়ী সহ ১ জন আসামী আটক ও ৩জন ভিকটিমকে উদ্ধার করে। উক্ত ঘটনায় মাইক্রোবাসের ড্রাইভার বাদী হয়ে মামলা রুজু করলে কোতোয়ালী মডেল থানার মামলা নং-০৯, তারিখ-০৪/১১/২০২৩ ইং) এসআই মোঃ আনোয়ার হোসেন তদন্তকালে গত ইং ০৭/১১/২০২৩ তারিখ টাঙ্গাইল জেলার বিভিন্ন স্থান হতে ঘটনায় জড়িত পলাতক আরো ৩জন আসামীদেরকে গ্রেফতার করে। উক্ত ঘটনায় ইতিমধ্যে অন্যতম আসামী মোঃ মফিজুল ওরফে মফিজ (৩০) গত ৭ নভেম্বর বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহ্ কামাল আকন্দ জানান গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।