ফারুক হোসেন রাজশাহী ব্যুরো প্রধান: রাজশাহী টু নওগাঁ চৌমশিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের রাজশাহী নওহাটা থেকে কামরুজ্জামান চত্বর (রেলগেট) এর ফোর লেন রাস্তার চলমান কাজের লাইটিং পোলের মাটির নিচ থেকে ইলেকট্রিক তার চুরির সয়ম হাতেনাতে একজনকে আটক করেছে সিকিউরিটি গার্ড। আটককৃত চোরের নাম আলামিন ইসলাম নয়ন। সে নগরীর পাঠানপাড়া এলাকার রফিকুল ইসলাম রফিকের ছেলে।
রবিবার (৩ডিসেম্বর) রাত সোয়া দুইটার দিকে পবা উপজেলা গেটের সামনে থেকে ঐ চোরকে আটক করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমএস ডন এন্টার প্রাইজের সিকিউরিটি গার্ড মো: অন্তর। এব্যাপারে অন্তরের সাথে কথা বললে সে জানায়, যেদিন থেকে এই রাস্তার লাইটিং এর কাজ শুরু হয়েছে সেদিন থেকে মাঝে মাঝে মাটির নিচ থেকে (তকমার 10 RM) ইলেকট্রিক তার চুরি হয়ে যায়। এতে ঠিকাদারের কাছে আমাদের ব্যাপক খারাপ কথা শুনতে হয়। আমরা অনেকদিন থেকে এই ইলেক: তার চোরকে ধরার চেষ্টা করছিলাম। অবশেষে আজ সফল হয়েছি। কখন, কিভাবে ধরা হয়েছে জানতে চাইলে সে জানায়, রাত আনুমানিক ২ টা থেকে ২.১৫ মি: এর দিকে পবা উপজেলার সামনে তিন জন রিক্সা থেকে নামতে দেখি। এরপর তারা চুরি করা শুরু করে। পরে আমাকে দেখে তারা পালানোর চেষ্টা করে এবং আমি দৌড়ে একজনকে ধরতে সক্ষম হই। সকাল পর্যন্ত চোরটিকে আটকিয়ে রাখি। পরে রাজপাড়া থানা পুলিশকে ফোন দিলে তারা এসে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। তবে আমরা তাকে জিজ্ঞেসাবাদ করেছি, সে বিগত দিনের চুরির ঘটনা স্বিকার করেছে। এর সাথে জামিল ও তানভির নামে আরও দুইজন সহযোগী রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৬ নভেম্বর রাতে রাজপাড়া থানা পার্শে নির্বাচন ষ্টেশন সার্ভার অফিসের সামনে থেকে প্রায় দেড় লাখ টাকার তার চুরি হয়ে যায়। এ ঘটনায় রাজপাড়া থানায় একটি চুরি মামলা করা হয়। মামলায় বাদী হয় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ইলেকট্রিক মিস্ত্রি বারিক আলী।
বিষয়টি নিয়ে রাজপাড়া থানা পুলিশের সাথে কথা বললে পুলিশ জানায়, যেহেতু পুর্বের একটি চুরির মামলা রয়েছে, আবারও একই জিনিস চুরি করছিল, তাই ধারনা করা হচ্ছে এই গ্রুপটি চুরি গুলো করেছে। এর সাথে আরও কয়েকজন জড়িত আছে বলে জানতে পেরেছি, আমরা তাদেরও ধরার চেষ্টা করছি।