রানা ইস্কান্দার রহমান গাইবান্ধা জেলা ব্যুরো প্রধানঃ- গাইবান্ধা সদর উপজেলার লক্ষিপুরের ল্যাংগাবাজার বিএস উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামের অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে শতশত ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবক। এ নিয়ে স্কুল প্রাঙ্গন এলাকায় থমথমে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
শুরুটা হয়, বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষার ফী প্রদান নিয়ে। ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের অভিযোগ, কোন রশিদ ছাড়াই প্রধান শিক্ষক তার শিক্ষকদের দিয়ে স্কুল নির্ধারিত ফি’র চাইতে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছেন।
কয়েকজন ছাত্র জানান, স্কুল থেকে তাদের বার্ষিক পরীক্ষার ফি বাবদ ২শ ৫০ টাকা এবং বকেয়া বেতনসহ কম্পিউটার ল্যাব এর বিদ্যুৎ বিলসহ আনুষঙ্গিক আরও ২শ ৪০ টাকা করে এই মোট ৪শ ৯০ টাকা নেন। টাকা নেওয়ার কোন রশিদ তারা দেননি। এর প্রতিবাদ করলে শিক্ষকরা তাদের বালিকা বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে বলেন। তারা আরও বলেন, স্কুলের শিক্ষকরা তাদের দিয়ে বাথরুম পর্যন্ত পরিষ্কার করে নেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন অভিভাবকরা।
কয়েকজন অভিভাবক এ প্রতিবেদককে জানান, ‘স্কুলের পড়াশোনার মান দিন দিন খারাপ হয়ে যাচ্ছে। তাদের সন্তানদের দিয়ে স্কুলের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ করানো হয়। স্কুলে একজন সুইপার নিয়মিত কাজ করলেও সম্প্রতি তাকে বাদ দিয়ে গোপনে ওই পদে একজন মুসলমান ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে’। এসময় প্রধান শিক্ষকের নিকট অতিরিক্ত টাকা আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অতিরিক্ত টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
প্রশাসনের নিকট দেওয়া অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিদ্যালয়ে শিক্ষার মান উন্নয়নের পরিবর্তে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি নিয়োগ বানিজ্যে মেতে উঠেছেন। এছাড়া স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভা আহবান ছাড়াই মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগ দেওয়ারও অভিযোগ করেন তারা। এ ব্যাপারে গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দাখিল করেছেন অভিভাবক ও স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্যবৃন্দ।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষকের নিকট গত ২৩ নভেম্বর বুধবার জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।